জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে টেনে আনছে টেস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা। সবশেষ ৬ টেস্ট ইনিংসে দুইশর কাছে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। একটিতেও খেলতে পারেনি ৫০ ওভার।
অস্বস্তির সবচেয়ে বড় দাগ লেগেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে। রোডসের কোচিংয়ে সেটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। অ্যান্টিগা টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উইকেট ছিল দারুণ পেস সহায়ক, ছোবল দিচ্ছিল পেসারদের বল। কন্ডিশনও ছিল পেস উপযোগী। ম্যাচের প্রথম সকালে লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ৪৩ রানে।
দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুব বাজে কিছুর শঙ্কা নেই। তবে সাম্প্রতিক ব্যাটিং ব্যর্থতার রেশ তো আছেই। বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করলেন রোডস। তার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন ব্যাটিং নিয়ে।
“আগের সিরিজে খুব কঠিন উইকেটে খেলতে হয়েছিল আমাদের। অ্যান্টিগায় আমরা ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিলাম। সবাই বলছে, ভয়ঙ্কর বাজে পারফরম্যান্স। কিন্তু সত্যি বলতে, সেদিন ১১ জন রিকি পন্টিং থাকলেও আমরা হয়তো কোনোরকমে একশ করতে পারতাম। উইকেট এতটাই কঠিন ছিল, টস এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবশ্যই আমাদের জন্য বড় বিপর্যয় ছিল। কিন্তু বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরাও সেখানে ধুঁকত। যদি ভুলে না যান, সেদিন ওদের ক্যাচিংও ছিল দুর্দান্ত।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরই শুধু নয়, দেশের মাটিতে নিজেদের সবশেষ টেস্টেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসে করতে পেরেছিল কেবল ১১০ ও ১২৩। রোডস তখনও বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসেননি। সেই সময়টা নিয়ে তাই কথাও বলছেন না। বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়েই।
উইকেট-কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জকে ব্যর্থতার ঢাল হিসেবে দাঁড় করছেন না কোচ। নিজেদের দায়টুকুও মেনে নিচ্ছেন। উন্নতির আশ্বাস দিচ্ছেন। এগিয়ে চলার ভরসা জোগাচ্ছেন।
“আমি অবশ্যই সেসবে মুখ গুঁজে আছি না। অগ্রগতি যেখানে করা দরকার, করতেই হবে। অজুহাত দিতে চাই না আমি, আমাদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। কোচ ও শিক্ষক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছেলেদের আরও ভালো করে তোলা। সেই চেষ্টাই করছি। সুযোগ দিন, দেখা যাক কি হয়। দেখা যাক, ব্যাটসম্যানরা কিভাবে এগিয়ে যায়। আশা করি উন্নতির প্রমাণ ওরা শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশেও রাখতে পারবে।”
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে অবশ্য উন্নতির বিবেচনা করা যাবে সামান্যই। হয়তো আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সেই পরীক্ষা হবে আরও যথাযথ।