শেষ বলের জয়ে সিরিজে এগিয়ে পাকিস্তান

জিততে শেষ বলে চাই ৭ রান। ছক্কা মারলে সুপার ওভারে বেঁচে থাকবে সম্ভাবনা। বল হলো ফুলটস, কিন্তু পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলেন না রস টেইলর। বাউন্ডারি মারতে পারলেন বটে, তবে আফসোস তাতে বাড়ল আরও। শটটি আরেকটু জুতসই হলেই উড়ে গিয়ে ছাড়িয়ে যেত সীমানা! পাকিস্তান বাঁচল হাফ ছেড়ে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2018, 08:06 PM
Updated : 31 Oct 2018, 08:07 PM

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আবু ধাবিতে নিউ জিল্যান্ডকে ২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বুধবার খুব বড় স্কোরের খেলা হয়নি। পাকিস্তান ইনিংসে ছিল না কোনো ফিফটি। ২০ ওভারে তোলে তারা ১৪৮ রান। কলিন মানরোর সৌজন্যে নিউ জিল্যান্ড শুরুটা দুর্দান্ত করলেও ধরে রাখতে পারেনি ধারা। থমকে গেছে ১৪৬ রানে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ১০ রানের মধ্যে হারায় দুই ওপেনারকে। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে ফেরান অ্যাডাম মিল্ন। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের প্রথম শিকার সাহিবজাদা ফারহান।

তৃতীয় উইকেটে আসিফ আলি ও মোহাম্মদ হাফিজ গড়েন ৬৭ রানের জুটি। হাফিজের ৩৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস নতুন দম দেয় পাকিস্তানের ইনিংসে। আসিফ করেন ২১ বলে ২৪।

অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক এদিন ঝড় তুলতে পারেননি। তবে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৪। শেষ ৩ ওভারে পাকিস্তান তোলে ৩৫ রান। শেষ দুই বলে টিম সাউদিকে ইমাদ ওয়াসিমের চার ও ছক্কা দলকে নিয়ে যায় দেড়শর কাছে।

রান তাড়ায় মানরো ও গ্লেন ফিলিপস নিউ জিল্যান্ডকে এনে দেন দুর্দান্ত শুরু। তবে সেটি মূলত মানরোর সৌজন্যেই। ৬ ওভারে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ১৫ বলে ১২ করেন ফিলিপস।

মানরো ছুটছিলেন দুর্দান্ত গতিতে। তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান লেগ স্পিনার শাদাব। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় মানরো করেন ৪২ বলে ৫৮।

মানরো ফেরার পর পাকিস্তানের স্পিনাররা চেপে ধরে কিউইদের। রান করার পথই সেভাবে বের করতে পারছিল না কিউই মিডল অর্ডার। ক্রমেই রান-বলের টানাপোড়েন বাড়তে থাকে।

এক প্রান্তে রস টেইলর তবু আশা হয়ে ছিলেন দলের। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের। বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে আসে সিঙ্গেল, দ্বিতীয় বলে টিম সাউদির চার। তৃতীয় বলে আরেকটি সিঙ্গেল, পরের দুই বলে দুটি ডাবলস। ফয়সালা ঠেকে শেষ বলে। তাতে ছক্কার সমীকরণ মেলাতে পারেননি টেইলর। ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেও পারেননি দলকে জেতাতে। 

ব্যাট হাতে ৪৫ আর বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের রান আটকে দেওয়া ৩ ওভারে ১৩ রানের জন্য ম্যাচের সেরা হাফিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (বাবর ৭, সাহিবজাদা ১, আসিফ ২৪, হাফিজ ৪৫, সরফরাজ ৩৪, মালিক ৮, ফাহিম ১০*, ইমাদ ১৪*; এজাজ ১/২৭, সাউদি ০/৩০, মিল্ন ২/২৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/২৪, সোধি ০/২৪, মানরো ০/১৩)।

নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৬/৬ (মানরো ৫৮, ফিলিপস ১২, উইলিয়ামসন ১১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৬, টেইলর ৪২*, অ্যান্ডারসন ৯, সাইফার্ট ০, সাউদি ৫*; ইমাদ ১/২৬, ফাহিম ০/১৫, হাসান ৩/৩৫, হাফিজ ০/১৩, শাদাব ১/২৬, শাহিন শাহ ০/২৯)।

ফল: পাকিস্তান ২ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ হাফিজ