জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই প্রথমবার বাংলাদেশের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন অপু। গত কিছুদিনে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই বাঁহাতি স্পিনার অনেকটাই নিয়মিত হয়ে উঠেছেন দলে। তবে তার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া চমকে দিয়েছে অনেককেই। তার বোলিংয়ের ধরনকে মনে করা হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্যই বেশি উপযোগী, উইকেট নেওয়ার চেয়ে রান আটকানোই যেখানে মুখ্য।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাধারণ স্পিনারদের রাজত্ব চললেও অপুর রেকর্ড খুব একটা উজ্জ্বল নয়। ৫৪ ম্যাচে উইকেট ১৪৪টি, ৫ উইকেট মাত্র তিনবার। এরপরও জায়গা পেয়ে গেছেন টেস্ট দলে। বাংলাদেশের স্পিন কোচ বলছেন, রঙিন পোশাকের পারফরম্যান্সই অপুকে নিয়ে এসেছে সাদা পোশাকে।
“সাকিব নেই বলেই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট নাজমুল ইসলাম অপুর কথা ভেবেছে। গত বছর খানেক ধরে সে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো করছে। তার পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবেই টেস্ট দলে ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে টিম কম্বিনেশনে তার জায়গা কোথায় হয়।”
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন টেস্ট দল ঘোষণার পর বলেছিলেন, সোজা বল করায় দক্ষতার কারণেই মূলত অপুকে নেওয়া হয়েছে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টার্নিং বলে যেমন, তেমনি বাঁহাতি স্পিনারের আর্ম ডেলিভারি ও সোজা বলে বেশ দুর্বল। অপুর আর্ম ডেলিভারি যদিও এখনও খুব ভালো নয়, তবে জোরের ওপর সোজা বল করতে পারেন।
যোশি অবশ্য সেটিও আলাদা করে বললেন না। টেস্টে অপুর শক্তি কি হতে পারে বা কতটা কার্যকর হতে পারেন, এই প্রশ্নে স্পিন কোচ বারবার বললেন, খেললেই বোঝা যাবে।
“সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ না পেলে তো দেখা যাবে না সে কেমন করতে পারে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে স্কিলের কারণেই নির্বাচকেরা ও ম্যানেজমেন্ট তাকে টেস্ট স্কোয়াডে রেখেছে।”
“ও সুযোগ পেলেই কেবল আমরা সেটা দেখতে পারব (কতটা কার্যকর হতে পারে)। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তার বোলিং যা দেখেয়েছে, সে দলে জায়গার জোর দাবিদার।”