বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই পেসার সালাউদ্দিন শাকিল ও অভিষিক্ত সুমন খানের পেসের সামনে সুবিধা করতে পারেনি মেট্রো। গড়তে পারেনি কোনো জুটি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি কেউ।
সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। তার বাইরে দুই অঙ্কে যান কেবল সৈকত আলী ও শামসুর রহমান।
আরাফাত সানিকে সুমন বোল্ড করে দেওয়ার পর ২৯.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে মেট্রো। ৮ উইকেট নেওয়ায় ঢাকা বিভাগ বোলিংয়ে বোনাস পয়েন্ট পায় ১। আরেকটি উইকেট পেলে .৫ পয়েন্ট বেশি পেত তারা।
এবারের এনসিএলে প্রথম ইনিংসে ৫/৬ উইকেটের জন্য বোনাস পয়েন্ট .৫। ৭/৮ উইকেটের জন্য ১ আর ৯/১০ উইকেটের জন্য ১.৫।
পঞ্চম রাউন্ড শুরুর আগে ২০.৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মেট্রো। ১৫.৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ঢাকা বিভাগ।
ঢাকা বিভাগের শাকিল ৪ উইকেট নেন ১৫ রানে। সুমন ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট।
মেট্রোর নাটকীয় ইনিংস ঘোষণার পর রনি তালুকদারের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের পথে আছে ঢাকা বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১৬৭ রানে। শুভাগত হোম চৌধুরী ৯ ও তাইবুর রহমান ৪ রানে ব্যাট করছেন।
নিয়মিত ওপেনার আব্দুল মজিদের জায়গায় ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রকিবুল হাসান। ৫৮ বলে ৯ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান কাজি অনিকের বাঁহাতি পেসে।
রনির সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে সাইফ হাসান ফিরেন ৪৯ রান করে। দিনের শেষ দিকে রনির প্রতিরোধ ভাঙেন অনিক। ১৫৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় রনি করেন ৮৬ রান। দিন শেষে তার দল এগিয়ে ১০৮ রানে।
কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। মাঠে নামতে পারেনি চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্রিকেটাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২৯.৩ ওভারে ৫৯/৮ ইনিংস ঘোষণা (সাদমান ১, নাঈম ৮, শামসুর ১১, মার্শাল ০, আশরাফুল ১৪, সৈকত ১০, জাবিদ ৬, অনিক ০*, সানি ১; শাকিল ৪/১৫, সুমন ৩/৩২, মোশাররফ ১/৫)
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ১৬৭/৩ (রনি ৮৬, রকিবুল ৯, সাইফ ৪৯, শুভাগত ৯*, তাইবুর ৪*; অনিক ২/২৭, শহিদুল ০/৩২, সানি ১/৫৫, আসিফ ০/১২, সৈকত ০/৯, আশরাফুল ০/২২)