কলম্বোয় শনিবার ওয়েন মর্গ্যানের দল জিতেছে ৩০ রানে। ১৮৭ রান তাড়ায় শেষ বলে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় থিসারা পেরেরার দল। এই জয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন ইংল্যান্ডের সফলতম অধিনায়ক মর্গ্যান।
আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রয় ঝড়ে দ্রুত এগোয় ইংল্যান্ড। জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস, মর্গ্যানের দ্রুত বিদায়ের কোনো প্রভাদ দলের ওপর পড়তে দেননি এই ওপেনার।
৩৬ বলে ৬ ছক্কা আর ৪ চারে ৬৯ রান করা রয়কে থামান লাকশান সান্দাকান। ম্যাচে সব মিলিয়ে চারটি ছক্কা হজম করা এই রিস্ট স্পিনারের এটিই একমাত্র উইকেট।
রয় ফেরার সময় ১১ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১০৭/৪। সেখান থেকে দুইশ রানে নজর ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ততদূর যেতে পারেনি অতিথিরা। মিডল অর্ডারে ১১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৭ রান করেন মইন। ২০১০ সালের পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ডেনলি ১৭ বলে করেন ২০।
শ্রীলঙ্কার আমিলা আপন্সো ও লাসিথ মালিঙ্গা নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ডেনলির সোজা বলে বোল্ড হয়ে যান নিরোশান ডিকভেলা ও কুসল মেন্ডিস। এরপর শিকার ধরেন আরেক লেগ স্পিনার রশিদ। ফিরিয়ে দেন দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও অভিষিক্ত কামিন্দু মেন্ডিসকে। এই তিন ব্যাটসম্যানই ফিরেন বড় ইনিংস খেলার আশা জাগিয়ে।
৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা ব্যবধান কমায় থিসারার ব্যাটে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে এই বাঁহাতি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ৩১ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৫৭ রান।
শেষ ওভারে ফিরে শেষ তিন বলের মধ্যে থিসারা ও মালিঙ্গার উইকেট তুলে নেন ডেনলি। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। স্পিনে ভোগানো রশিদ ৩ উইকেট নেন ১১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৭/৮ (রয় ৬৯, বাটলার ১৩, হেলস ৪, মর্গ্যান ১১, স্টোকস ২৬, মইন ২৭, ডেনলি ২০, রশিদ ৫, প্লানকেট ৭*, জর্ডান ২*; মালিঙ্গা ২/৩০, আপন্সো ২/২৯, উদানা ১/২৪, সান্দাকান ১/৩৯, কামিন্দু ০/২৭, থিসারা ০/১৫, ডি সিলভা ১/২২)
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৫৭ (ডিকভেলা ৩, কুসল ১, চান্দিমাল ২৬, ডি সিলভা ১৭, কামিন্দু ২৪, থিসারা ৫৭, শানাকা ১০, উদানা ২, আপন্সো ০, মালিঙ্গা ৫, সান্দাকান ১*; ডেনলি ৪/১৯, কারান ০/৪০, জর্ডান ২/২৯, রশিদ ৩/১১, প্লানকেট ১/২৪, মইন ০/২৪)
ফল: ইংল্যান্ড ৩০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জো ডেনলি