বাংলাদেশের ‘প্রথম’ হতে না পারার আক্ষেপ ইমরুলের

দ্বিতীয় ওয়ানডের ক্ষণিকের সেই পাগলামি এখন আরও বেশি পোড়াচ্ছে ইমরুল কায়েসকে। প্রথম ওয়ানডের পর সেঞ্চুরি করলেন তৃতীয় ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঠাণ্ডা মাথায় আর ১০ রান করলে টানা তিন ম্যাচে হয়ে যেতো সেঞ্চুরি। একটা জায়গায় বাঁহাতি এই ওপেনার হয়ে যেতেন বাংলাদেশের প্রথম।

ওয়ানডেতে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের। ১৪৪, ৯০ আর ১১৫ রানের তিন ইনিংসে সেই কীর্তি গড়ার খুব কাছে ছিলেন ইমরুল। সিরিজ সেরা এই ব্যাটসম্যান জানান, ৯০ রানের সেই আউটের পর ভীষণ খারাপ লেগেছিল তার। এখন তা আরো বেশি পোড়াচ্ছে।

“তিনটা সেঞ্চুরি হলে ভালো লাগত যেহেতু এটা কেউ কখনো করেনি বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি প্রথম করতাম, আমার একটা সুযোগ ছিল। সেদিন রুমে গিয়ে আমারও আমারও খুব খারাপ লেগেছে। তখন এটাই চিন্তা করছিলাম যে, আবার ৯০ এর ঘরে গেলে আর এই ভুল করব না।”

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮০ থেকে ৯০ এ ইমরুল যান সতর্ক ব্যাটিংয়ে। হঠাৎ করেই ছক্কায় দ্রুত এগোনোর চেষ্টায় থেমে যেতে হয় তাকে। সেই সময়ের ভাবনা কি ছিল জানান বাঁহাতি এই ওপেনার।

“আগের ম্যাচে আসলে নিজের কাছে আমার একটু বেশি প্রত্যাশা ছিল। পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করব, যার জন্য চাপ বেশি লাগছিল।” 

“আজকে কিন্তু ৯০ এর পর কোনো চাপ অনুভব করিনি। ভেবেছি ম্যাচ শেষ করব, সেঞ্চুরি হলে হবে না হলে নাই। যখন ৯০ রানে ছিলাম দলের জেতার জন্য অনেক রান লাগত। শেষ পর্যন্ত এটা একশ হয়ে যেত।”

সেই সেঞ্চুরি পাওয়ার পর দুঃখটা ফিরে আসে নতুন করে। তবে এর মাঝেও নিজের মতো করে সান্ত্বনা খুঁজে নিচ্ছেন ইমরুল।

“আমি শূন্য রানেও আউট হতে পারতাম।...  তবে আমি রান করেছি তিনটা ম্যাচে, এ জন্য অবশ্যই ভালো লাগছে।”

ইমরুল-সৌম্যর ব্যাটে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে

ইমরুল-সৌম্যর জুটির রেকর্ড

ইমরুল-সৌম্যর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

৫ পেসারে শুরু প্রথমবার