ফেইসবুক দূরে পাঠিয়ে রানের কাছে সৌম্য

টেকনিক তার কখনোই আদর্শ নয়। টেম্পারামেন্টও। তবে এই নিয়েই তো রান করেছেন। গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বোলিং আক্রমণ। সৌম্য সরকারের সমস্যাটি তাহলে কোথায়? গবেষণা, আলোচনা হয়েছে বিস্তর। সমস্যার একটি জায়গা বের করেছেন সৌম্য নিজেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর বাইরের আলোচনা! সেই কপাট বন্ধ করেই ফিরলেন রানে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2018, 06:45 PM
Updated : 26 Oct 2018, 09:23 PM

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পরই তার বিস্ফোরক ব্যাটিং দিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন সৌম্য। বাংলাদেশ পেয়েছিল ম্যাচ জেতানোর মতো এক ব্যাটসম্যানকে, নিজের দিনে যিনি ধ্বংস করতে পারেন যে কোনো বোলিং আক্রমণ। কিন্তু ২০১৫ সালের পর নিজের দিন খুব কমই এসেছে তার। রান পেয়েছেন বটে, তবে ধারাবাহিক ছিলেন না। অনেক সময়ই নিজেকে হারিয়েছে খুঁজেছেন। দলে আসা-যাওয়া ছিল নিত্য।

সেই আসা যাওয়ার পালায়ই এবার নতুন করে আলোচনায় সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মূল স্কোয়াডে না থাকলেও শেষ ওয়ানডের আগে দলে যোগ করা হয় তাকে। জায়গা পেয়ে যান একাদশেও। ফেরার এই ম্যাচেই ফিরে পেলেন নিজেকে। খেললেন ৯২ বলে ১১৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য অকপটেই স্বীকার করলেন, তার মূল সমস্যা মনস্তাত্ত্বিক। বাইরের আলোচনা প্রবল প্রভাব ফেলেছিল তার পারফরম্যান্সে।

“আমার কাছে মনে হয় আমি বাইরের কথা বেশি শুনতাম। ফেইসবুক যখন ব্যবহার করতাম, তখন নেতিবাচক মন্তব্যগুলো আসত অনেক, যা মাথায় গেঁথে যেত। মানুষ ইতিবাচক জিনিসটা লিখেও না, নিজেও পারে না। এমন এক একটা হেডলাইন আসত, যেন আমি সবই খারাপ করেছি। আর আমরা বাংলাদেশিরা হেডলাইনটাই বেশি পড়ি।”

“ভেবেছি, ফেইসবুক ব্যবহার বন্ধ করব, নেতিবাচক জিনিসগুলো কম নিব, মানুষের সাথে কথা কম বলব। শুধু ইতিবাচক জিনিস নিয়েই বেশি ভাবার চেষ্টা করেছি। অনুশীলনও কম করতাম তখন, যখন খারাপ যায় তখন সবই খারাপ যায়, ভাল করলেও খারাপ হয়। বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতাম সেই সময়ে।”