অনেক কষ্টে ইমরুল কায়েস পেছনে ফেলেছেন কঠিন সময়। ব্যাটে এখন রানের দারুণ স্রোত। সময়টা যতটা সম্ভব উপভোগ করে নিজের মতো করে খেলে যেতে চান বাঁহাতি এই ওপেনার।
Published : 27 Oct 2018, 12:11 AM
বেশিরভাগ সময় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে ফিরতে হয়েছে ইমরুলকে। শেষবার তেমন কিছু না করেই ফিরেছিলেন দলে। অন্যদের ব্যর্থতা আর তামিম ইকবালের চোটে হঠাৎ করে এশিয়া কাপের মাঝপথে ডাক পান তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় নম্বরে নেমে খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ধারাবাহিকতাহীনতার জন্য প্রশ্নের মুখে থাকা ইমরুল যথারীতি ব্যর্থ পরের দুই ম্যাচে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ রান করার পর এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কখনও টানা তিন ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে না পারা ইমরুলকে অন্য চেহারায় দেখা গেল জিম্বাবুয়ে সিরিজে। তিন ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে উপহার দিলেন একটি ৯০ রানের ইনিংস।
এমন ধারাবাহিকতা কি করে সম্ভব হল জানতে সবার তুমুল আগ্রহ। তবে সেই আগ্রহী প্রশ্নের জবাব মেটানোর চেয়ে ইমরুলের কাছে বেশি জরুরি এই ছন্দটা ধরে রাখা।
“ভাই আমাকে খেলতে দেন। আমি অতো কিছু জানি না, কীভাবে কি (সম্ভব হয়েছে)। এত বড় প্লেয়ার হইনি এখনও। তিনটা ম্যাচ ভালো খেলেছি। আর চেষ্টা করব বাকি ম্যাচগুলোও ভালো খেলার।”
১৪৪, ৯০ ও ১১৫ রানের তিনটি ইনিংসে সিরিজ সেরা ইমরুলের রান ৩৪৯। তামিম ইকবালের ৩১২ ছাড়িয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন এই ওপেনারের। সেই রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার চেয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেই বেশি খুশি তিনি।
“খুব ভালো লাগছে। কারণ, ম্যাচটা জেতাতে পেরেছি। এটা অবশ্যই আমার ক্রিকেট জীবনে বড় প্রাপ্তি। আমি চেষ্টা করব এটা ধরে রাখতে। আসলে অনেক লোকেই বলে যে, আমার ধারাবাহিকতা নেই। আমি জানি, আমি কোথায় রান করি বা করি না। এটা নিয়ে আমি আতঙ্কিত না।”
আর ১২ রান হলে ইমরুল ভাঙতে পারতেন তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানের বাবর আজমের সর্বোচ্চ ৩৬০ রানের বিশ্ব রেকর্ড। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল জানান, ব্যাটিংয়ের সময় রেকর্ডের কথা মাথাতে থাকে না।
“এটা মাথায় ছিল না। আমি জানতামও না। আসলে খেলার সময় কোনো রেকর্ড হচ্ছে কি হচ্ছে এটা মাথায় থাকে না। জাস্ট ফোকাস করি বল টু বল।”