শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের জোড়া সেঞ্চুরিতে সহজ জয়ে অতিথিদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।
Published : 26 Oct 2018, 02:06 PM
ফেইসবুক দূরে পাঠিয়ে রানের কাছে সৌম্য
বাংলাদেশের ‘প্রথম’ হতে না পারার আক্ষেপ ইমরুলের
‘সৌম্য যেদিন খেলবে সেদিন ওয়ান ম্যান শো হবে’
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ২৮৭ রানের লক্ষ্য ৪৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে মাশরাফির দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের অধিকারে। ২০১৬ সালে ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিকদের হারিয়েছিল তারা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিল এই মাঠে বাংলাদেশের আগের সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৮৬/৫ (মাসাকাদজা ২, জুয়াও ০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ১২৯*, রাজা ৪০, মুর ২৮, চিগুম্বুরা ১*; আবু হায়দার ১/৩৯, সাইফ ১/৫১, আরিফুল ০/১৭, মাশরাফি ০/৫৬, সৌম্য ০/১৬, নাজমুল ২/৫৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৪০)।
বাংলাদেশ: ৪২.১ ওভারে ২৮৮/৩ (লিটন ০, ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭, মুশফিক ২৮*, মিঠুন ৭*; জার্ভিস ১/৪৭, এনগারাভা ০/৪৪, টিরিপানো ০/৩৩, রাজা ০/৪৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭১, উইলিয়ামস ০/৪৩, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১/৩)
জয়ের কাছে গিয়ে ফিরলেন ইমরুল
দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের পথে রেখে ফিরে যাওয়া ইমরুল কায়েস একটুর জন্য ভাঙতে পারেননি তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড।
ওয়েলিং মাসাকাদজাকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়ে টাইমিং করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তার ক্যাচ লং অনে মুঠোয় জমান এল্টন চিগুম্বুরা। ১১২ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১১৫ রান করেন ইমরুল।
দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটিতে সিরিজে ইমরুলের রান ৩৪৯। তিন ম্যাচের সিরিজে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল বাবর আজমের। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬০ রান করেছিলে পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের তৃতীয় জোড়া সেঞ্চুরি
ওয়ানডেতে তৃতীয়বারের মতো একই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান।
২০১৫ সালে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। গত বছর জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কে যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস।
ইমরুলের আরেকটি সেঞ্চুরি
আগের ম্যাচে হঠাৎ এক বাজে শটে ৯০ রানে আউট হওয়া ইমরুল কায়েস এবার ঠাণ্ডা মাথায় তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। সিরিজে বাঁহাতি এই ওপেনারের দ্বিতীয়, ক্যারিয়ারের চতুর্থ।
ডোনাল্ড টিরিপানোর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ইমরুল। ৪১ বলে এসেছিল তার পঞ্চাশ, পরের পঞ্চাশ এলো ৫৮ বলে। তিন অঙ্কে যাওয়ার পথে ৯টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭/২। ইমরুল ১০৭ ও মুশফিকুর রহিম ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
বড় জুটি গড়ে ফিরে গেলেন সৌম্য
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার।
হ্যামিল্টন মাসাকাদজার অফ স্পিন ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় লং অনে ডোনাল্ড টিরিপানোর হাতে ধরা পড়েন সৌম্য। ৯২ বলে খেলা বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ১১৭ রানের ঝড়ো ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায়।
২২০ রানে থেমেছে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ওয়ানডেতে এর চেয়ে বড় জুটি আছে বাংলাদেশের আর একটিই। গত বছর জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ২২৪।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২০/২। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি
সিকান্দার রাজাকে ২৯তম ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সৌম্য সরকার, এর প্রথমটিতে ওয়ানডেতে নিজেদের সেরা দ্বিতীয় উইকেট জুটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের অধিকারে। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৭ রান করেছিলেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৭/১। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে সৌম্যর জুটির রানও ২১৭।
২৮তম ওভারে বাংলাদেশের দুইশ
জিম্বাবুয়ের দুইশ ছুঁতে খেলতে হয়েছিল ৩৮তম ওভার পর্যন্ত, ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দুইশ রানে গেছে ২৮তম ওভারে।
২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ইমরুল কায়েসের সিঙ্গেলে দুইশ রানে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ওয়ানডেতে এটি তাদের তৃতীয় দুইশ রানের জুটি।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৩/১। ইমরুল ৮৮ ও সৌম্য সরকার ১০৩ রানে ব্যাট করছেন।
দলে ফেরাটা সেঞ্চুরিতে রাঙালেন সৌম্য সরকার। মাঝে বাজে সময় কাটানো বাঁহাতি ওপেনার ৮১ বলে তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
৫৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর থেকে যেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্যর অন্য চেহারা। ইমরুল কায়েসের পর ফিফটি করলেও সেঞ্চুরিতে গেলেন তার আগে। সৌম্যর দ্বিতীয় পঞ্চাশ আসে মাত্র ২৭ বলে।
সেঞ্চুরিতে যাওয়ার পথে নয়টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান সৌম্য।
দ্বিতীয় উইকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা জুটি
দাপুটে ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। তাদের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে নিজেদের সেরা জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৫ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মোহাম্মদ রফিক ও আফতাব আহমেদের ১৫০ রান ছিল আগের সেরা। সেই রান ছাড়িয়ে আরও সামনের দিকে ছুটেছেন ইমরুল-সৌম্য।
২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৩/১। ইমরুল ৭৪ ও সৌম্য ৬৭ রানে ব্যাট করছেন। জুটির রান তখন ১৫৩।
তামিমকে ছাড়িয়ে ইমরুল
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ইমরুল কায়েস। চোটের জন্য এই সিরিজে না খেলা তামিম ইকবালর রেকর্ড ভেঙেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৩১২ রান করেছিলেন তামিম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৪ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০ রান করেন ইমরুল। তামিমের রেকর্ড নিজের করে নিতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তার প্রয়োজন ছিল ৭৯ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৭৭ বলে সেই রান ছুয়ে ফেলেন আরও এগোচ্ছেন ইমরুল।
ছক্কায় সৌম্যর ফিফটি
প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকার দলে ফেরার ম্যাচেও ভোগাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়া তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
বাঁহাতি স্পিনার শন উইলিয়ামসকে বেরিয়ে এসে লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে ৫৪ বলে নিজের সপ্তম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। ৮ ইনিংস পর ওয়ানডেতে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তিনি।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩০/১। ইমরুল ৬৭ ও সৌম্য ৫৪ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩০ ওভারে আরও ১৫৭ রান চাই তাদের।
ইমরুলের ছক্কায় বাংলাদেশের একশ
স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর ইমরুল কায়েসের উত্তাল ব্যাট একটু শান্ত হলেও খুব একটা কমেনি রানের গতি। ষোড়শ ওভারে তিন অঙ্কে গেছে সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান। প্রথম বলে উইকেট হারানো দলের রানও তিন অঙ্কে গেছে একই সঙ্গে।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে জুটির রান ৯১ বলে একশতে নিয়ে যান ইমরুল।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/১। ইমরুল ৬০ ও সৌম্য ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
দারুণ ছন্দ ধরে রেখে ইমরুল কায়েস তুলে নিয়েছেন আরেকটি ফিফটি।
প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৯০ রান। এবার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন বাঁ হাতি এই ওপেনার। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছেন ৮টি চার।
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৬ রান। ইমরুল ৫১ ও সৌম্য সরকার ৪১ রান ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ১৯১ রান চাই স্বাগতিকদের।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ঝড়
ঝড় তুলেছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
১০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮০ রান। ইমরুল ৪৩ ও সৌম্য ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা হাঁকিয়েছে ১৩টি বাউন্ডারি।
ইনিংসের প্রথম বলে লিটন দাসকে এলবিডব্লিউ করেন কাইল জার্ভিস। শুরুর সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ইমরুল-সৌম্যর পাল্টা আক্রমণে উল্টো চাপে পড়ে গেছে অতিথিরা।
ইমরুল-সৌম্য জুটিতে পঞ্চাশ
প্রথম বলেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
কাইল জার্ভিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪০ বলে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান ইমরুল।
দুই ব্যাটসম্যানই খেলছেন ঝুঁকি নিয়ে। অল্পের জন্য কয়েকবার ফিল্ডার নাগাল পাননি মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া ক্যাচের। ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপ দিয়ে এসেছে কয়েকটি বাউন্ডারি।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫২/১। ছন্দে থাকা ইমরুল ৩০ ও দলে ফেরা সৌম্য ২০ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ২৩৫ রান চাই স্বাগতিকদের।
প্রথম বলেই ফিরলেন লিটন
আগের ম্যাচে প্রথম ওভারে বেঁচে গিয়েছিলেন রিভিউ নিয়ে। এবার আর হলো না। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন লিটন দাস।
কাইল জার্ভিসের মিডল স্টাম্পে পড়া ইন সুইঙ্গার ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি ওপেনার। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দিলে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন লিটন। তাতে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে লাগতো বল।
তাই পাল্টায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান আগের ম্যাচে ঝকঝকে এক ফিফটি করা লিটন।
১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১/১। ক্রিজে ইমরুলের সঙ্গী সৌম্য সরকার।
শন উইলিয়ামসের ক্যারিয়ার সেরা ইংসে তৃতীয় ওয়ানডেতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। অতিথিদের হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের চাই ২৮৭ রান।
উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন টেইলরের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করে জিম্বাবুয়ে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে খেলা ১০২ ছাড়িয়ে উইলিয়ামস অপরাজিত থাকেন ১২৯ রানে। তার ১৪৩ বলের ইনিংসটি গড়া ১০ চার ও এক ছক্কায়।
বাঁহাতি স্পিনে নাজমুল অপু ৫৮ রানে নেন দুটি উইকেট। দুই পেসার আবু হায়দার ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৮৬/৫ (মাসাকাদজা ২, জুয়াও ০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ১২৯*, রাজা ৪০, মুর ২৮, চিগুম্বুরা ১*; আবু হায়দার ১/৩৯, সাইফ ১/৫১, আরিফুল ০/১৭, মাশরাফি ০/৫৬, সৌম্য ০/১৬, নাজমুল ২/৫৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৪০)।
রান আউট মুর
দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় আরিফুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন পিটার মুর। ভেঙেছে ৬২ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ফুলটস বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন শন উইলিয়ামস। টাইমিং করতে পারেননি, অনেকটা ছুটে গিয়ে ক্যাচের নাগাল পাননি আরিফুল। তবে তার সরাসরি থ্রো স্টাম্প এলেমেলো করে দেয়। ডাইভ দিয়েও রান আউট হওয়া ঠেকাতে পারেননি মুর। ২১ বলে দুটি ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি।
৪৯.২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৮৪/৫। ক্রিজে শন উইলিয়ামসের সঙ্গী এল্টন চিগুম্বুরা।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উইলিয়ামস-মুর জুটিতে ফিফটি
দৃঢ় ভিত দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছেন শন উইলিয়ামস ও পিটার মুর। পঞ্চম উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। এ নিয়ে টানা তিনটি উইকেটে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল জিম্বাবুয়ে।
৩৩ বলে আসে উইলিয়ামস-মুর জুটির পঞ্চাশ। দুই ব্যাটসম্যান ডট বল খেলছেন কম। প্রান্ত বদল করে খেলার সঙ্গে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে এগোচ্ছেন দ্রুত।
৪৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৭৯/৪। উইলিয়ামস ১২৬ ও মুর ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ম্যাচে শেষ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেছিলেন ৪৭ রান। এবার শন উইলিয়ামস খেললেন বড় ইনিংস। তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। সিরিজে এটাই জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১২৪ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন উইলিয়ামস। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার।
বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের আগের সেঞ্চুরি ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে খেলেছিলেন ১০২ রানের ইনিংস।
৪৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৩৮/৪। উইলিয়ামস ১০৫ ও পিটার মুর ৬ রানে ব্যাট করছেন।
রাজাকে ফেরালেন নাজমুল
নাজমুল ইসলাম অপুর বাজে বলে উইকেট দিয়ে ফিরলেন সিকান্দার রাজা। ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙল ৮৪ রানের জুটি।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলের ফুলটস লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন রাজা। টাইমিং করতে পারেননি, সীমানায় ধরা পড়েন সৌম্য সরকারের হাতে। ৫১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করেন রাজা।
৪৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২২৬/৪। উইলিয়ামস ৯৮ ও পিটার মুর ২ রানে ব্যাট করছেন।
৩৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের দুইশ
পঞ্চদশ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল দলের রান। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ একশ স্পর্শ করেছিল ২১তম ওভারে। অতিথিদের রান দুইশ হল ৩৮তম ওভারে। মন্থর শুরু করা জিম্বাবুয়ে বাড়াচ্ছে রানের গতি।
জিম্বাবুয়ের পরের একশ এসেছে ঠিক ১৭ ওভারে।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান ব্রেন্ডন টেইলর। তারপর থেকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। দুই জন এরই মধ্যে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
৩৯ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ২০৬/৩। উইলিয়ামস ৮৮ ও রাজা ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
উইলিয়ামস-রাজা জুটিতে ফিফটি
তৃতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে শতরানের জুটি উপহার দেওয়া শন উইলিয়ামস চতুর্থ উইকেটে সিকান্দার রাজার সঙ্গে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫৮ বলে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান উইলিয়ামস। জুটিতে অগ্রণী এই বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানই।
৩৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৯৬/৩। উইলিয়ামস ৮৪ ও রাজা ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
টেইলরকে ফিরিয়ে শতরানের জুটি ভাঙলেন নাজমুল
বাজে এক শটে শেষ হল ব্রেন্ডন টেইলরের দারুণ ইনিংস। দ্রুত এগোনো ১৩২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন নাজমুল ইসলাম অপু।
বাংলাদেশের পাতা ফাঁদে পা দেন টেইলর। লং অন ফাঁকা রেখে ফুল লেংথের বলে সেদিক দিয়ে লফটেড শট খেলতে তাকে প্রলুব্ধ করেন নাজমুল। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল স্লগ সুইপ করে সেই ঝুঁকি নিলেন টেইলর। কাল হল সেটাই, ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।
৭২ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রান করে ফিরেন টেইলর। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ছক্কায় উড়ান সিকান্দার রাজা।
২৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৪৪/৩। শন উইলিয়ামস ৫২ রাজা ৬ রানে ব্যাট করছেন।
সিরিজে উইলিয়ামসের দ্বিতীয় ফিফটি
প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করা শন উইলিয়ামস দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিরেন ৪৭ রানে। তৃতীয় ওয়ানডেতে আবার ফিফটি করেছেন বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
নাজমুল ইসলাম অপুর বলে সিঙ্গেল নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের দশম ফিফটিতে পৌঁছান উইলিয়ামস। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি বাউন্ডারি।
২৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২৯/২। ব্রেন্ডন টেইলর ৬৮ ও উইলিয়ামস ৫০ রানে ব্যাট করছেন।
জিম্বাবুয়ের একশ
সময় গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের রানের গতি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখাচ্ছেন ব্রেন্ডন টেইলর। সতর্ক ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন শন উইলিয়ামস। দুই জনের ব্যাটে ২১ তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ।
১৪.৩ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল অতিথিদের রান। একশ এসেছে ২১তম ওভারের শেষ বলে।
২১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০১/২। টেইলর ৫৫ ও উইলিয়ামস ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে টেইলরের ফিফটি
টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর। চার-ছক্কায় জিম্বাবুয়েকে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৪৯ বলে পঞ্চাশ রানে পৌঁছান টেইলর। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছিলেন ৭৫ রান।
২০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯৩/২। টেইলর ৫৪ ও শন উইলিয়ামস ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে জিম্বাবুয়ে। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
আরিফুল হকের বলে টেইলরের বাউন্ডারিতে ৭৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান।
১৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫৯/২। টেইলর ২৬ ও উইলিয়ামস ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে জিম্বাবুয়ের ২ উইকেট
দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানো জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়েছে ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টানছেন অতিথিদের।
১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৫/২। টেইলর ১৪ ও উইলিয়ামস ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে প্রথম ৫ ওভারে রানের জন্য সংগ্রাম করেছে জিম্বাবুয়ে। এই সময়ে হারিয়েছে সিফাস জুয়াও ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উইকেট। পরের ৫ ওভারে হারায়নি কোনো উইকেট, এই সময়ে রান এসেছে দ্রুত।
৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৭। পরের ৫ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ২৮ রান।
টানা ২২ ডট বল
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও আবু হায়দারের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য হাঁসফাঁস করছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারের পর থেকে টানা ২২ বলে কোনো রান নিতে পারেনি অতিথিরা।
সাইফের করা ম্যাচের দ্বিতীয় ওভার ছিল উইকেট-মেডেন। পরের ওভারটি উইকেট-মেডেন নেন আবু হায়দার।
প্রথম ওভারের শেষ বলে লেগ বাইয়ে বাউন্ডারি পাওয়া জিম্বাবুয়ে পরের রান পায় পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে। আবু হায়দারের বলে সিঙ্গেল নেন শন উইলিয়ামস।
৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৭/২। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে উইলিয়ামস।
একাদশে ফেরার ম্যাচে দ্রুতই সাফল্যের দেখা পেলেন আবু হায়দার। ফিরিয়ে দিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।
আগের উইকেটের মতো এটিতেও অবশ্য দায় ব্যাটসম্যানদের। বেরিয়ে যেতে থাকা লেংথ বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মাসাকাদজা। টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। ব্যাটে লেগে বল এসেছে স্টাম্পে।
ব্যর্থতার ধারা ধরে রেখে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এবার ফিরলেন ২ রানে। তৃতীয় ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেটে ৬।
আগের ম্যাচে লেগেছিল পাঁচ বল। এবার তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পেলেন প্রথম সাফল্য। ফিরিয়ে দিলেন সিফাস জুয়াওকে।
আগের ম্যাচে পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এলেও এ দিন সাইফ পেয়েছেন নতুন বল। আক্রমণে এসেছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে। উইকেট নিয়েছেন নিজের তৃতীয় বলে। স্টাম্প সোজা লেংথ বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড জুয়াও।
বিপজ্জনক জুয়াও ফিরলেন শূন্য রানে। জিম্বাবুয়ে ১ উইকেটে ৬।
জিম্বাবুয়ে দলে দুই পরিবর্তন
টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানো জিম্বাবুয়ে দলে এনেছে দুটি পরিবর্তন। দলে এসেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগাভারা। বাদ পড়েছেন পেসার টেন্ডাই চাটারা ও ব্র্যান্ডন মাভুটা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সিফাস জুয়াও, এল্টন চিগুম্বুরা, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড টিরিপানো, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কাইল জার্ভিস, রিচার্ড এনগারাভা।
আরিফুলের অভিষেক, দলে তিন পরিবর্তন
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ একাদশে এনেছে তিনটি পরিবর্তন। অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। দলে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার ও বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।
বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি জায়গা হারিয়েছেন একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, আরিফুল হক, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার।
টানা তৃতীয় ম্যাচে টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শিশিরের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে আবার ফিল্ডিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ
টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাই হোক জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে চান তিনি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে শুক্রবার বেলা আড়াইটায়।
২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ। সেবার দেশের মাটিতে তারা জেতে ৫-০ ব্যবধানে। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে আবার একই ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ।
২০১৫ সালে আবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশড করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এবার জেতে ৩-০ ব্যবধানে।