জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া চার নতুনের একজন আরিফুল। ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেই তিনি বেশি ধারাবাহিক। তবে জাতীয় দলের ক্ষেত্রে তাকে বিবেচনা করা হয়েছে অন্যভাবে। আগে জায়গা পেয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে, এরপর ওয়ানডে দল হয়ে এবার টেস্টে।
তবে টেস্ট জায়গা পেলেন সীমিত ওভারের গতিতে রান করার ভাবনা থেকেই। আগের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের সময় দেশের মাটিতে টেস্ট খেলার যে পথ বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ, সেটিই এখনও আঁকড়ে আছে দল। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, টার্নিং উইকেটে দ্রুত কিছু রান তোলার ভাবনাতেই দলে নেওয়া হয়েছে আরিফুলকে।
“আমরা দেশের মাটিতে যে ধরনের উইকেটে খেলি, নিচের দিকে দ্রুত কিছু রান এলে খুব ভালো হয়। খেলার মোড় পাল্টে যেতে পারে। এর আগে সাব্বির কিংবা শুভাগতকে যে চিন্তা থেকে নেওয়া হয়েছিল, আরিফুলকে আমরা এবার সেই ভূমিকায় ভেবেছি। পাশাপাশি ওর বোলিং তো আছেই। তৃতীয় সিমার হিসেবে বেশ ভালো কাজ চালাতে পারবে প্রয়োজনে।”
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কিছুদিনে যা পারফরম্যান্স, তাতে খালেদের ডাক পাওয়া খুব বিস্ময়কর নয়। বিশেষ করে টেস্টে পেস বোলিংয়ে যখন বিকল্প খুঁজে ফিরছে দল। প্রধান নির্বাচক তবু আলাদা করে বললেন খালেদের গতির কথা।
“খালেদেকে আমরা হাই পারফরম্যান্স দলে নার্সিং করেছি। এখন যতজন বোলার এইচপিতে আছে বা জাতীয় পুলে আছে, তাদের মধ্যে ওর গতিই বেশি। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ভালো সার্ভিস দেবে।”
নাজমুল ইসলাম অপু টেস্ট ক্রিকেটে কতটা কার্যকর হতে পারেন, সেটি নিয়ে সংশয় আছে অনেকের। তবে প্রধান নির্বাচক জানালেন, বিশেষ একটি ভাবনা থেকেই নেওয়া হয়েছে এই বাঁহাতি স্পিনারকে।
“ওর ক্ষেত্রে মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কোচ এমন একজন স্পিনার চান, যে টার্ন খুব বেশি না করালেও চলবে, কিন্তু সোজা বল করায় দক্ষ, উইকেট টু উইকেট বল করতে পারে।”