ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে কঠিন কন্ডিশন আর দলের বিপর্যয়ে ৬৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছিলেন সোহান। পরের টেস্টে অবশ্য দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের টেস্ট দলে রাখা হয়নি এই কিপার ব্যাটসম্যানকে।
তবে এক টেস্টের ব্যর্থতায় সোহানকে বাদ দেওয়া ঠিক হলো কিনা, এই প্রশ্ন উঠছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এই প্রসঙ্গেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন মুশফিককে কিপিংয়ে ফেরার ভাবনার কথা।
“সোহানকে নেওয়া হয়েছিল মূলত কিপার হিসেবে। যেহেতু লিটন টপ অর্ডারে খেলছে, মুশফিক চারে। একজন কিপার লাগত। তবে এবার মুশফিক কিপিং করবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টই নেবে, তবে সে কিপিং করবে বলে আলোচনা হওয়াতেই সোহানকে রাখার প্রয়োজন হয়নি।”
ক্যারিয়ারের ৬২ টেস্টের পঞ্চাশটিতেই কিপিং করেছেন মুশফিক। তবে সবশেষ ৬ টেস্টে খেলেছেন শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরের মার্চে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে।
ব্যাটিংয়ে ভার কমাতেই মূলত তাকে কিপিং থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে বরাবরই কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলতে চেয়েছেন। বিস্ময়করভাবে, কিপিং না করা টেস্টগুলোতে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সও ততটা উজ্জ্বল নয়। সবশেষ ৭ টেস্ট ইনিংসে তার ফিফটি নেই। কিপিং না করা ১২ টেস্টে ফিফটি মোটে তিনটি, গড় মোটে ২৪.৪৭। কিপিং করা ৫০ টেস্টে গড় ৩৬.৬০।
টেস্ট স্কোয়াডে আছেন আরও দুইজন কিপার ব্যাটসম্যান। তবে তাদের গ্লাভস হাতে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম বলেই জানালেন প্রধান নির্বাচক।
“লিটন তো ওপেন করবে ইমরুলের সঙ্গে। ওর কিপিং করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মিঠুনকে নেওয়া হয়েছে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই। প্রয়োজনে সেও কিপিং করতে পারে, তবে মুশফিকের সম্ভাবনাই বেশি।”