এনসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের শেষ দিন ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় মেট্রোর ইনিংস।
এই ম্যাচের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খালেদের সেরা বোলিং ছিল ৮৯ রানে ৫ উইকেট। মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যান ওই পারফরম্যান্সকে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে অসাধারণ এক জয় এনে দেওয়ার পথে ৫৪ রানে নেন ৫ উইকেট।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নিয়ে খালেদ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কিছুক্ষণ পরে পান বড় সুসংবাদ - ডাক পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে মেট্রো। জয়ের জন্য শেষ দিনে তাদের দরকার ছিল ১৬৯ রান। সিলেটের প্রয়োজন ছিল শেষ ৯ উইকেট।
এক প্রান্ত আগলে রেখে মেট্রোকে এগিয়ে নিয়ে যান সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে ৬০ ও ষষ্ঠ উইকেটে জাবিদ হোসেনের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটিতে দলকে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের ভালো অবস্থানে নিয়ে যান তিনি।
জয়ের জন্য সে সময় ১৯ দরকার ছিল মেট্রোর, হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু সিলেটের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ১৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে মার্শাল আইয়ুবের দল।
৯২ বলে ১০ চারে ৭৮ রান করা সাদমানকে বিদায় করে মেট্রোর প্রতিরোধ ভাঙেন এনামুল হক জুনিয়র। বাঁহাতি এই স্পিনার পরে ফেরান শহিদুল ইসলামকে। আসিফ হোসেনকে বিদায় করার পর আরাফাত সানিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মেট্রোকে থামিয়ে দেন খালেদ। সঙ্গে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো নেন পাঁচ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ৩১২
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৩০০
সিলেট ২য় ইনিংস: ১৮৪
ঢাকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৯৭) ৪৮.২ ওভারে ১৯৩ (সাদমান ৭৮, সৈকত ৫, শামসুর ২৯, মার্শাল ৮, আশরাফুল ১৪, মেহরাব জুনিয়র ২, জাবিদ ২৮*, অনিক ৪, আসিফ ০, শহিদুল ১, সানি ১; আবু জায়েদ ০/৫০, এবাদত ২/৪৭, খালেদ ৫/৫৪, শাহানুর ১/১৫, এনামুল জুনিয়র ২/৮)
ফল: সিলেট ৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সৈয়দ খালেদ আহমেদ