প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ রানের ইনিংস খেলা সাইফ ছিলেন উইকেটশূন্য। তাই চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যেভাবেই হোক বোলিংয়ে ভালো করতে উন্মুখ ছিলেন তিনি। অনেকটা সফলও তিনি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
৭ উইকেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফ জানান, মনে মনে ভাবছিলেন অধিনায়ক যদি তাকে দ্রুত আক্রমণে আনতেন!
“আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম যে, মাশরাফি ভাই আমাকে আক্রমণে আনুক। আমাকে বোলিংয়ে আনায় তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ। আমি চাচ্ছিলাম যে, বোলিংয়ে কিছু একটা করে দেখাই। টিকে থাকতে হলে আমাকে বোলিংয়েই কিছু করে দেখাতে হবে।”
“আপনারা জানেন, আমি খেলছি রুবেল ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে। তাই আমার এমন কিছু করতে হবে যেন পরের ম্যাচেও সুযোগ পাই। চেষ্টা ছিল ভিন্ন কিছু করার যেন সবার নজরে আসি।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ভালো করলেন তরুণরা। চোটের জন্য নেই তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম খেলছেন, তবে তাদের ছাপিয়ে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন অন্যরা। সাইফ মনে করেন, তার মতো তরুণদের পারফরম্যান্সে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
“আমাকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই আমার প্রথম স্কিল অবশ্যই বোলিং। উইকেট পেলে বা ইকোনমি বোলিং করলে ভালো লাগে। ব্যাটিং আমার ব্যাকআপ। চেষ্টা করি দুইটাতেই ভালো করার। এখানে ভালো করে খুব ভালো লাগছে।”