হোঁচট খেয়েই শিখতে চান সাইফ উদ্দিন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর্বিভাবের পর থেকেই হোচঁট খাচ্ছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। সেই কঠিন সময় তাকে শিখিয়েছে অনেক কিছু। যে শিক্ষা থেকেই এখন চেষ্টা করছেন দৃঢ়ভাবে লক্ষ্য পানে চলার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2018, 06:29 PM
Updated : 24 Oct 2018, 06:29 PM

গত অক্টোবর থেকে এই অক্টোবর, সাইফ উদ্দিন দেখে ফেললেন মুদ্রার দুটি পিঠ। গত অক্টোবরে অভিষেক ওয়ানডেতে তুলোধুনো হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওই সফরেই একটি টি-টোয়েন্টিতে ওভারে ৫ ছক্কা হজম করেছিলেন ডেভিড মিলারের ব্যাটে। এই অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং পারফরম্যান্স দিয়েই ম্যাচ-সেরা হয়ে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের।

শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই নয়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টিতে ২ ওভারে দিলেন ৩৩ রান, আরেকটিতে ৪ ওভারে ৪৬। এরপর জায়গা হারিয়েছিলেন ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সব দলেই।

ফিরেছেন এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করলেও ছিলেন উইকেটশূন্য। তাকে দলে নেওয়ার মূল কারণ ছিল বোলিং। ব্যাটে রান পাওয়ার পরও তাই চাপটা ছিল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পূরণ হয়েছে তার নিজের ও দলের সেই চাওয়া।

চট্টগ্রামে এ দিন দারুণ বোলিং করেছেন নতুন ও পুরোনো বলে। ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচের সেরা। ১০ ওভারে বাউন্ডারি দিয়েছেন মাত্র ৩টি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, স্লগ ওভারে রান দেননি বেশি। শেষ ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি জিম্বাবুয়ে, যেখানে সাইফ উদ্দিনের ছিল ২ ওভার।

ম্যাচ শেষে জানালেন, আগে ব্যর্থ হলেও ভেঙে পড়েননি। চেষ্টা করেছেন ভুলগুলো থেকে শেখার।

“কিছু সময় সাফল্য পেতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। আমি সবসময় এটা বিশ্বাস করি। আমার মা বলত, একটি ছেলে হাঁটা শিখতে গেলে বারবার হোঁচট খায়, তাতে কি তার হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়? তেমনি আমিও মার খাব, ওখান থেকেই শিখব।”

বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দল থেকেই শেষের ওভারগুলোতে নিয়মিত বল করতেন সাইফ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটায় শেষ দিকে বোলিং করেই হয়েছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তাই বলে শেষে বোলিং করা ছাড়ার কথা ভাবেননি। চেষ্টা করেছেন নিজেবে সমৃদ্ধ করতে।

“আমি যখন অনূধ্বর্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ খেলেছি, তখনও শেষেই বোলিং করতাম। মিরাজ ছিল অধিনায়ক, ডেথ ওভারেই বোলিং করার অভিজ্ঞতা বেশি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কয়েকটি ম্যাচ নিজেকে মেলে ধরতে পারিনি। তার পর চেষ্টা করেছি। মিরাজের সঙ্গে সবসময় কথা হয়। মুস্তাফিজ অনেক অভিজ্ঞ, ওর সঙ্গে কথা হয় যে কিভাবে করলে সাফল্য আসে। চেষ্টা করেই আজকে সফল হয়েছি।”

সাইফ জানালেন, দলের বাইরে থাকার সময়টায় বোলিংয়ের মানসিক দিকগুলো নিয়েই মূলত কাজ করেছেন বেশি।

“কাজ তো প্রতিদিনই করতে হয়। চেষ্টা করেছি। মেন্টালি কিছু কাজ করেছি, বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। যেহেতু আগের ম্যাচগুলোতে খরুচে ছিলাম, এগুলো নিয়ে কথা বলেছি। সামনে আরও ম্যাচ আছে অনেক। চেষ্টা করব ধরে রাখতে।”