ইমরুল-লিটনের ব্যাটে সিরিজ বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়েকে আড়াইশ রানের নিচে থামিয়ে নিজেদের কাজটা করে রেখেছিলেন বোলাররা। তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। সেই দৃঢ় ভিতের ওপর ভর করে সহজেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2018, 08:07 AM
Updated : 24 Oct 2018, 04:20 PM

বাংলাদেশের ৭ উইকেটের জয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে নিজেদের মেলে ধরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতেছে ৭ উইকেটে।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নেয় সিরিজ।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস করেন ৯০। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৮৩ রান করে ফিরেন লিটন দাস।

বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের কীর্তি গড়া মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা মোহাম্মদ মিঠুন করেন ২৪ রান।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (মাসাকাদজা ১৪, জুয়াও ২০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ৪৭, সিকান্দার ৪৯, মুর ১৭, চিগুম্বুরা ৩, মাভুটা ৯*, টিরিপানো ৩*; মাশরাফি ১/৪৯, মুস্তাফিজ ১/৩৫, সাইফ ৩/৪৫, মিরাজ ১/৪৫, অপু ০/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/২১)

বাংলাদেশ: ৪৪.১ ওভারে ২৫০/৩ (লিটন ৮৩, ইমরুল ৯০, মাহমুদ ০, মুশফিক ৪০*, মিঠুন ২৪*; জার্ভিস ০/৩১, চাটারা ০/৪৮, টিরিপানো ০/২২, মাভুটা ০/৫৬, উইলিয়ামস ০/৪৩, সিকান্দার ৩/৪৩, জুয়াও ০/৬)

৯০ রানে আউট ইমরুল

সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করলেন ইমরুল কায়েস। সিকান্দার রাজাকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন ৯০ রান করে।

রানের কোনো চাপ ছিল না। এক-দুই করে নিয়ে সহজেই টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন ইমরুল। তা না করে রাজাকে লং অফ দিয়ে উড়াতে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন এল্টন চিগুম্বুরা।

১১১ বলে খেলা ইমরুলের ৯০ রানের ইনিংস গড়া ৭ চারে।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৫/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন। জয়ের জন্য শেষ ১২ ওভারে ৩২ রান চাই স্বাগতিকদের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের ১০ হাজার

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন মুশফিকুর রহিম।

টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে রান পাঁচ অঙ্কে নিতে ২৫ রান দরকার ছিল মুশফিকের। ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেই রানে পৌঁছে যান এই কিপার ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়ে তিনশর বেশি ডিসমিসালও আছে তার।

৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১০/২। ইমরুল কায়েস ৯০ ও মুশফিক ২৭ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভারে ৩৭ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের দুইশ

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর কমেছে একটু রানের গতি। তবে দলকে ঠিক পথেই রেখেছেন ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ৩৫তম ওভারে দুইশ রানে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।

৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০২/২। ইমরুল ৮৬ ও মুশফিক ২৪ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে ৪৫ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।

আবারও মাহমুদের শূন্য

অভিষেক ম্যাচের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি।

সিকান্দার রাজার বলে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন মাহমুদ। পা বাড়িয়ে অফ স্পিন খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটে বলে করতে পারেননি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এগিয়ে যান বেশ খানিকটা।

ব্রেন্ডন টেইলরও পারেননি বল ঠিক মতো গ্লাভসে নিতে। তবে সময় মতো ফিরতে পারেননি  মাহমুদ। তার আগেই বেলস ফেলে দেন টেইলর। তিন ওভারের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫২/২। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য শেষ ২৪ ওভারে ৯৫ রান চাই স্বাগতিকদের।

লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রাজা

দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে ফিরে গেলেন লিটন দাস। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ১৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সিকান্দার রাজা।

বেরিয়ে এসে কাভার দিয়ে অফ স্পিনারকে উড়াতে চেয়েছিলেন লিটন। শরীরের বেশ দূরের বলে টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ মুঠোয় নেন ডোনাল্ড টিরিপানো। ৭৭ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রান করে বিদায় নেন লিটন।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/১। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী আগের ম্যাচে অভিষেকে শূন্য রানে ফেরা ফজলে মাহমুদ রাব্বি। জয়ের জন্য শেষ ২৬ ওভারে ৯৯ রান চাই স্বাগতিকদের।  

লিটনের পর ইমরুলের ফিফটি

লিটন দাসের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ইমরুল কায়েস। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি ষোড়শ ফিফটি।

সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান ইমরুল। প্রথম ওয়ানডের সেঞ্চুরিয়ান এবার পঞ্চাশে যাওয়ার পথে হাঁকান পাঁচটি চার। ওয়ানডেতে সবশেষ ছয় ইনিংসে এটি ইমরুলের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৩/০। লিটন ৬৯ ও ইমরুল ৫০ রানে ব্যাট করছেন। সিরিজ জিততে শেষ ৩০ ওভারে ১২৪ রান চাই তাদের।

বাংলাদেশের একশ

এক ম্যাচ পর আবার উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুর জুটিতে শতরান তুলেছেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস।

৫৭ বলে এসেছিল তাদের জুটির পঞ্চাশ। রান তিন অঙ্কে যায় ৯৪ বলে। দ্বিতীয় পঞ্চাশ এসেছে মাত্র ৩৭ বলে। 

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে শতরানের জুটি উপহার দিয়েছিলেন লিটন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শুরুর জুটি ভেঙেছিল দ্রুত। এবার আবার শতরানের জুটিতে ভালো শুরু পেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশর স্কোর ১০৪/০। লিটন ৬০ ও ইমরুল ৪০ রানে ব্যাট করছেন।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে লিটনের ফিফটি

প্রথম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া লিটন দাস দাপুটে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে।

শন উইলিয়ামসকে পরপর দুটি চার মেরে ৪৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন লিটন। তরুণ ওপেনারের এটি দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিন অঙ্কে।   

ফিফটি করার পথে ৮টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান লিটন।

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৬/০। লিটন ৫৪ ও ইমরুল কায়েস ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩৫ ওভারে আরও ১৫১ রান চাই স্বাগতিকদের।

পাওয়ার প্লেতে ইমরুল-লিটনের দৃঢ়তা

ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। বাজে বলে বাউন্ডারি তুলে নিয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। এক-দুই নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫০/০। লিটন ২৮ ও ইমরুল ২১ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৪০ ওভারে ১৯৭ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের।

ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উদ্বোধনী জুটি ভোগাচ্ছে জিম্বাবুয়ের বোলারদের। প্রথম ১০ ওভারে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাটারা ও ডোনাল্ড টিরিপানো।

লিটন-ইমরুল জুটির পঞ্চাশ

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

৫৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে শুরুর জুটির রান। জুটিতে অগ্রণী আগের ম্যাচে দ্রুত ফেরা লিটন। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করা ইমরুল।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন

প্রথম ওভারে উইকেট হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন লিটন দাস।

কাইল জার্ভিসের ইন সুইঙ্গার ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দিলে নন স্ট্রাইকার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন লিটন। হকআইয়ে দেখা যায় সুইং করে লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত বল। তাই বেঁচে যান এই ওপেনার।

সে সময় লিটন ও বাংলাদেশ দলের রান ছিল শূন্য।

সিরিজ জিততে ২৪৭ রান চাই বাংলাদেশের

এক সময়ে তিনশ রানের সম্ভাবনা জাগানো জিম্বাবুয়েকে আড়াইশ রানের আগেই থামিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে ২৪৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

৩০তম ওভারে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ১৪৭/২। সেখান থেকে তিনশ রান অসম্ভব ছিল না। তবে শেষের দারুণ বোলিংয়ে তাদের অনেক আগেই থামায় স্বাগতিকরা।

ব্রেন্ডন টেইলরের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। দুটি চল্লিশ রানের ইনিংস খেলেন সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস।

৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (মাসাকাদজা ১৪, জুয়াও ২০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ৪৭, সিকান্দার ৪৯, মুর ১৭, চিগুম্বুরা ৩, মাভুটা ৯*, টিরিপানো ৩*; মাশরাফি ১/৪৯, মুস্তাফিজ ১/৩৫, সাইফ ৩/৪৫, মিরাজ ১/৪৫, অপু ০/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/২১)

চিগুম্বুরাকে দ্রুত ফেরালেন সাইফ

একাদশে ফেরা এল্টন চিগুম্বুরা বেশিক্ষণ টিকলেন না। ঝড় তোলার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

তরুণ পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে পয়েন্ট সীমানায় ধরা পড়েন চিগুম্বুরা। ৯ বলে তিনি করেন ৩।

৪৮তম ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৩৬/৭। ক্রিজে ব্র্যান্ডন মাভুটার সঙ্গী ডোনাল্ড টিরিপানো। 

মুরকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না পিটার মুর। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ধরা পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে।

বাঁহাতি পেসারের অফ কাটার বুঝতে পারেননি মুর। ব্যাটের কানায় লেগে অনেক ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ ওয়াইড লং অন থেকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে মুঠোয় জমান মিরাজ। ২০ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান মুর।

৪৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২৩১/৬। ক্রিজে এল্টন চিগুম্বুরার সঙ্গী ব্র্যান্ডন মাভুটা। 

রাজাকে ফেরালেন মাশরাফি

আগের ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছক্কা-চার হাঁকিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। পরের ওভারে মধুর প্রতিশোধ নেন বাংলাদেশ। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে রাজাকে থামান অভিজ্ঞ এই পেসার।

মাশরাফির অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার তাড়া করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন রাজা। ৬১ বলে খেলা তার ৪৯ রানের ইনিংসে তিনটি চারের পাশে ছক্কা দুটি। টানা দুই বলে উইকেট পেতেন মাশরাফি, যদি আগের বলেই পিটার মুরের ক্যাচ না ছাড়তেন মোহাম্মদ মিঠুন।

৪৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২২৯/৫। ক্রিজে পিটার মুরের সঙ্গী এল্টন চিগুম্বুরা।

মুরকে জীবন দিলেন মিঠুন

দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলো। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে সীমানায় পিটার মুরের ক্যাচ ছেড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ফাইন লেগ সীমানায় বেশ এগিয়ে ছিলেন মিঠুন। মাশরাফির শর্ট বলে মুরের ক্যাচ ধরার চেষ্টায় কিছুটা পিছিয়ে যান ফিল্ডার। দুই হাতে বল মুঠোয় নেনও তিনি কিন্তু সীমানায় পা পড়ছে ভেবে বল ভেতরে ছুড়ে দেন মিঠুন। সীমানা থেকে তখনও কিছুটা দূরে ছিলেন তিনি। সে সময় ১৬ রানে ব্যাট করছিলেন মুর।

জিম্বাবুয়ের দুইশ

২১তম ওভারে তিন অঙ্ক ছোঁয়া জিম্বাবুয়ের রান দুইশ রানে গেছে ৪৩তম ওভারে। নাজমুল ইসলামকে বেরিয়ে এসে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে দুইশ রানে নিয়ে যান সিকান্দার রাজা।

৪৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২০৪/৪। সিকান্দার রাজা ৩৮ ও পিটার মুর ৩ রানে ব্যাট করছেন। 

উইলিয়ামসকে বিদায় করলেন সাইফ

আগের ম্যাচে ফিফটি করা শন উইলিয়ামসকে এবার পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই বিদায় করলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভাঙলেন ৪১ রানের জুটি।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল কাট করতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭৬ বলে দুটি চারে ৪৭ রান করে ফিরে যান উইলিয়ামস।   

৩৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৮৮/৪। ক্রিজে সিকান্দার রাজার সঙ্গী পিটার মুর।

টেইলরকে থামালেন মাহমুদউল্লাহ

জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেট জুটির প্রতিরোধ ভেঙে মাহমুদউল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন দ্রুত রান তোলা ব্রেন্ডন টেইলরকে।

কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না দেখে ৩০তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাতে মিলে সাফল্য। অফ স্পিনে মাহমুদউল্লাহ ফিরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের কিপার ব্যাটসম্যানকে।

মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে ইন সাইড আউটে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকান টেইলর। পরের বলটি রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে না পেরে ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে।

৭৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রান করেন টেইলর। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৭ রানের জুটি।

৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৪৭/৩। ক্রিজে শন উইলিয়ামসের সঙ্গী সিকান্দার রাজা।

জিম্বাবুয়ের টানা দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি

দ্বিতীয় উইকেটের পর তৃতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ব্রেন্ডন টেইলর-শন উইলিয়ামসের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৭৬ বলে।

দ্রুত এগোচ্ছেন ডানহাতি টেইলর। সতর্ক ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাঁহাতি উইলিয়ামস। দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে।

২৬ ওভার শেষে অতিথিদের স্কোর ১২৮/২। টেইলর ৬৪ ও উইলিয়ামস ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

টেইলরের ফিফটিতে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৮ রান করার পর সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না ব্রেন্ডন টেইলর। দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। বাংলাদেশেও প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রথম ওয়ানডেতে রান ছিল না তার ব্যাটে। বাঁচা-মরার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন টেইলর। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি।

৫২ বলে ক্যারিয়ারের ৩৫তম পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন টেইলর। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার অষ্টম ফিফটি।

২৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২১/২। টেইলর ৫৮ ও শন উইলিয়ামস ২৩ রানে ব্যাট করছেন।

জিম্বাবুয়ের একশ

জিম্বাবুয়ের রানের স্রোতে কিছুটা বাঁধ দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাই ১২ ওভারে ৭০ রান তুলে ফেলা দলটিকে একশ পর্যন্ত যেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২১তম ওভার পর্যন্ত। 

জিম্বাবুয়েকে টানছেন কিপার ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস।

২১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০০/২। টেইলর ৪৪ ও উইলিয়ামস ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন টেইলর

আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ব্রেন্ডন টেইলর।

মেহেদী হাসান মিরাজের ফুল লেংথ বল সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের কিপার ব্যাটসম্যান। বল প্যাডে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সাথে সাথেই রিভউ নেন টেইলর।

হকআইয়ে দেখা যায় লেগ-মিডলে পড়ে স্পিন করে লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত বল। তাই বেঁচে যান টেইলর। সে সময় ৪৩ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।

জুওয়াওকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মিরাজ

দ্রুত এগোনো জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দিলেন সিফাস জুওয়াওকে।

আগের বলেই সুইপ করে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাকিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। জায়গা করে নিয়ে পরের বলে উড়াতে চেয়েছিলেন লং অফ দিয়ে। তাকে মোটেও জায়গা দেননি মিরাজ। শরীরের খুব কাছের বলে টাইমিং করতে পারেননি জুওয়াও, লং অফে ধরা পড়েন ফজলে মাহমুদ রাব্বির হাতে।

২৭ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান করে ফিরে যান জুওয়াও। তার বিদায়ে ভাঙে ৫২ রানের জুটি। ১২ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৭০/২। ক্রিজে ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গী আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করা শন উইলিয়ামস।  

জুওয়াও-টেইলরের পঞ্চাশ রানের জুটি

দ্রুত অধিনায়ককে হারানো জিম্বাবুয়েকে টানছেন সিফাস জুওয়াও ও ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জুওয়াওয়ের বাউন্ডারিতে ৪২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে দ্রুত এগোনো জুটির রান।

পাওয়ার প্লেতে জিম্বাবুয়ের ১ উইকেট

পাওয়ার প্লেতে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে সিফাস জুওয়াও ও ব্রেন্ডন টেইলর দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন অতিথিদের।

১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫৭/১। জুওয়াও ১৪ ও টেইলর ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরে যেতে পারতেন জুওয়াও। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের লেগ স্টাম্পের বল এই বাঁহাতি ওপেনারের গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।

পরে স্নিকোত দেখা গেছে জুওয়াওয়ের গ্লাভস ছুঁয়েছিল বল। রিভিউ নিলে দ্বিতীয় উইকেট হারাত জিম্বাবুয়ে।

বোলিংয়ে এসেই মাসাকাদজাকে ফেরালেন সাইফ
মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম বোলিং পরিবর্তন কাজে লাগে গেল। অধিনায়কের জায়গায় বোলিংয়ে এসেই মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ফিরিয়ে দিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।

অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বল একটু আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। ব্যাটের কানায় লেগে আসা সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।

১৮ বলে দুটি চারে ১৪ রান করে ফিরে যান মাসাকাদজা। তার বিদায়ের সময় ৪.৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৮/১। ক্রিজে সিফাস জুওয়াওয়ের সঙ্গী ব্রেন্ডন টেইলর।

জিম্বাবুয়ে দলে আরভিনের জায়গায় চিগুম্বুরা

একটি পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ে দলে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিনের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন এল্টন চিগুম্বুরা।

জিম্বাবুয়ে: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সিফাস জুয়াও, এল্টন চিগুম্বুরা, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড টিরিপানো, ব্র্যান্ডন মাভুটা, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাটারা।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ একাদশ

অভিষেকে শূন্য রানে ফেরা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ রাব্বি টিকে গেছেন একাদশে। অপরিবর্তিত দল নিয়ে খেলছে খেলছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান।

 

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শিশিরের ভূমিকার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন ফিল্ডিং।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের হাতছানি

জয় দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। বাঁচা-মরার ম্যাচে জিতে সিরিজে টিকে থাকতে সিনিয়রদের কাছ থেকে বড় রান চায় জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের হাতছানি মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে। ২০১৪ সালে ৫ ম্যাচের সিরিজে অতিথিদের হোয়াইটওয়াশড করেছিল তারা। পরের বছর ৩ ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে।

দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা নবম সিরিজ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।