ফরহাদের ফিফটি, সুযোগ হাতছাড়া মিজান-জুনায়েদের

ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ফিফটি করেছেন ফরহাদ হোসেন। অল্পের জন্য হাতছাড়া করেছেন মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিক। এই দুজনের ব্যাটের সুর যদিও ছিল দুরকম। তবে তিন জনেরই দায় একটি জায়গায়, থিতু হয়েও বড় করতে পারেননি ইনিংস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 01:57 PM
Updated : 23 Oct 2018, 03:49 PM

কোনো বড় ইনিংস নেই বলেই লিড নেওয়া নিয়ে দোলাচলে রাজশাহী। খুলনায় জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে খুলনা প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৩০৭ রান। মঙ্গলবার রাজশাহী দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২০২ রানে।

সকালে খুলনা দিন শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে। এ দিন আর ১০ ওভার খেলে যোগ করতে পারে তারা মাত্র ২৬ রান। ভরসা হয়ে থাকা জিয়াউর রহমান ৩৭ রানে শুরু করে ফিরে গেছেন ৪৩ রানেই।

খুলনার শেষ তিন উইকেটের দুটি নিয়েছেন শফিউল ইসলাম, একটি ফরহাদ রেজা। ইনিংসে দুজনেরই উইকেট তিনটি করে।

রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে শুরুতে স্ট্রোকের ফোয়ারা ছোটান মিজানুর রহমান। ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে মায়শুকুর রহমান ছিলেন স্রেফ দর্শক হয়ে। ৭ চারে ৪৩ রান করে মিজানুর যখন আউট হলেন, মায়শুকুরের রান কেবল ১৪।

মায়শুকুর পরে আউট হয়েছেন ওই ১৪ রানেই। তৃতীয় উইকেটে জুনায়েদ ও ফরহাদ গড়েন ১০৪ রানের জুটি। ১০৪ বলে ৪৭ রান করা জুনায়েদের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৪৬ বলে ৫৬ রান করা ফরহাদকে ফেরান সৌম্য সরকার।

শেষ বিকেলে অধিনায়ক জহুরুল ইসলামও ফিরে গেছেন ১৫ রান করে। রাজশাহীর আশা হয়ে টিকে আছেন সাব্বির রহমান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ব্যাটসম্যান জাতীয় লিগে আগের তিন ইনিংসে করতে পারেননি বলার মতো কিছু। এবার সুযোগ তার সামনে বড় কিছুর।  

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সৌম্য নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এই ম্যাচ দিয়ে এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসারের গত আড়াই বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। ৮ ওভার বোলিং করে এ দিন ২৪ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা ১ম ইনিংস: ৯১ ওভারে ৩০৭ (আগের দিন ২৮১/৭) (জিয়াউর ৪৩, মইনুল ১৩, আল আমিন ৭, রবিউল ২*; শফিউল ৩/৬১, ফরহাদ রেজা ৩/৫৪, সাকলাইন ০/৪৬, মুক্তার ১/৪৩, ফরহাদ হোসেন ০/১৬, সানজামুল ৩/৭৬, মায়শুকুর ০/৯, সাব্বির ০/৬)।

রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৭০ ওভারে ২০২/৫ (মায়শুকুর ১৪, মিজানুর ৪৪, জুনায়েদ ৪৭, ফরহাদ ৫৬, জহুরুল ১৫, সাব্বির ১৬*, মুক্তার ০*; আল আমিন ২/৬২, রবিউল ০/২৪, মইনুল ১/২৮, সৌম্য ২/৪১, আফিফ ০/৮, নাহিদুল ০/১৬, মেহেদি ০/১৭)।