২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হারের মূল দায় দিয়েছিলেন শিশিরিকেই। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্পিনাররা মোটামুটি টার্ন ও গ্রিপ পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পাওয়া যায়নি একটুও। ম্যাচ শেষে মাশরাফি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “আজকে যে উইকেট ছিল, পরে শিশির পড়ে স্পিনাররা আর টার্ন পায়নি। খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল ওদের কাজ, যেটা খুব কঠিন হওয়ার কথা ছিল। যে পরিমাণ শিশির পড়েছে, এর অর্ধেকও পড়লে আমি নিশ্চিত ২৭৮ রান তাড়ায় ম্যাচটি পুরোপুরি অন্যরকম হতে পারত।”
ওই ম্যাচের আগের ম্যাচটিতে এই মাঠে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। জুলাইয়ের গরমেও সেই ম্যাচে প্রভাব ফেলেছিল শিশির। প্রথম ইনিংসে উইকেটে মোটামুটি সহায়তা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কিন্তু পরে প্রোটিয়া স্পিনাররা গলদঘর্ম হয়েছিলেন বল ধরতেই।
এবারও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে শিশির। সোমবারও সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই শিশির পড়তে শুরু করেছে মাঠে। সময়ের সঙ্গে পরিমাণ বেড়েছে অনেক। শিশির যাতে কিছুটা কম থাকে, এজন্য মঙ্গলবার আউটফিল্ডে পানি দেওয়া হয়নি। এরপরও কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেটি নিয়ে শঙ্কা থাকছে।
মিরপুরের মতো চট্টগ্রামের ম্যাচ দুটিও শুরুর সময় দুপুর আড়াইটা। প্রথমে ব্যাট করা দল পুরো ৫০ ওভার খেললে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হবে সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ। তখন শিশির থাকতে পারে পুরোদমে। পরে বোলিং করা দলের জন্য তখন প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি কঠিন হবে শিশির সামলানো।
এমনিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ওয়ানডেতে বাটসম্যানদের পক্ষেই কথা বলে বেশি। অন্তত মিরপুরের মতো অসম বাউন্স থাকে না খুব একটা, শট খেলা আরেকটু সহজ এখানে। এবারও চরিত্র একই থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর শিশির পড়লে তো দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ব্যাটসম্যানদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে পুরোপুরি। এই ম্যাচে টস তাই হয়ে উঠতে পারে মহাগুরুত্বপূর্ণ।