জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে চট্টগ্রামের স্কোর ৮ উইকেটে ২২৩ রান। নাঈম হাসান ১৬ ও শাখাওয়াত হোসেন শূন্য রানে ব্যাট করছেন।
৮ উইকেট নিয়ে আগের দিন ঢাকাকে ২৮৮ রানে থামিয়ে দিয়েছিলেন নাঈম। দলকে লিড এনে দেওয়ার দায়িত্ব এখন এই তরুণের কাঁধে।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরুতেই ফিরে যান সাদিকুর রহমান। দ্রুত তাকে অনুসরণ করেন মুমিনুল। এবারের আসরের প্রথম রাউন্ডে ঢাকার বিপক্ষে শূন্য রানে ফিরেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রানের খাতা খুলতে পারেননি এবারও। সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ফিরে যান কিপারকে ক্যাচ দিয়ে।
আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মিডল অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। ১১০ বলে খেলা ইয়াসিরের ৬০ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস থামে রান আউটে। লম্বা সময় নিয়ে থিতু হওয়া তাসামুল হক ফিরে যান মোশাররফ হোসেনের বাঁহাতি স্পিনে।
১২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া চট্টগ্রাম প্রতিরোধ গড়ে ইফতেখার ও মাহিদুলের ব্যাটে। দুই জনে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রান করা ইফতেখারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই অফ স্পিনার।
দলীয় ১৯৯ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন মাহিদুল। দুটি করে ছক্কা-চারে এই তরুণ কিপার ব্যাটসম্যান করেন ৪০ রান। নাঈমকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে দিনের শেষ বেলায় ফিরে যান মেহেদী হাসান রানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ১ম ইনিংস: ২৮৮
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২২৩/৮ (সাদিকুর ১৪, পিনাক ২২, মুমিনুল ০, ইয়াসির ৬০, তাসামুল ১৫, মাহিদুল ৪০, ইফতেখার ৪৬, নাঈম ১৬*, রানা ৩, শাখাওয়াত ০*; শাহাদাত ১/২৯, শাকিল ১/৩৯, শুভাগত ১/৫২, মোশাররফ ২/৫১, তাইবুর ১/৩৮, সাইফ ১/৯, নাজমুল ০/০)