অনিশ্চয়তা কেবল রুবেলকে পাওয়া নিয়ে

এশিয়া কাপ থেকে বয়ে আনা চোটের ছোবল এখনও আছে আঙুলে। তবে না খেলার কথা একবারও ভাবেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। মুশফিকুর রহিমের পাঁজরের চোট নিয়েও শঙ্কা নেই। কেবল রুবেল হোসেনকে নিয়েই একটু দুশ্চিন্তায় আছে দল। জ্বর থেকে মাত্রই সেরে ওঠা পেসারকে প্রথম ওয়ানডেতে পাওয়া নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2018, 12:05 PM
Updated : 20 Oct 2018, 12:05 PM

এশিয়া কাপে অনেক ক্রিকেটারের চোট সমস্যার কারণে একাদশে পরিবর্তন এসেছে নিয়মিত। দলীয় সমন্বয় নিয়ে ভাবতে হয়েছে প্রতি ম্যাচেই। এবার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান শুরু থেকেই নেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে। তাদেরকে বাদ রেখেই তাই মূল পরিকল্পনা সাজাতে পারছে দল।

সেই পরিকল্পনায় সম্ভাব্য সেরা একাদশই মাঠে নামাতে চায় দল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার আলোচনা যদিও আছে, তবে সিরিজের শুরুর দিকে অন্তত খুব বেশি ঝুঁকি নিতে চায় না দল। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রুবেল ছাড়া পেয়েছেন শুক্রবার। তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন ফিজিও। তাকে ছাড়া মূল ক্রিকেটারদের আর কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা আপাতত নেই বলে জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

“এশিয়া কাপে দলের ওপর দিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা গিয়েছে। একেক ম্যাচে একেকজন অসুস্থ হচ্ছিল। দুজন তো ছিটকেই গিয়েছিল। এবার আমরা শুরু থেকেই জানি, ওরা দুজন খেলছেই না। মুশফিক ভালো অনুভব করছে। রুবেল কালকে হাসপাতাল থেকে এসেছে, রিকভারির ব্যাপার আছে। গায়ে জ্বর ছিল, অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে। ওর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন ফিজিও, শেষ পর্যন্ত কি হয়। এছাড়া সবাই ভালো অবস্থায় আছে।”

“রুবেল হাসপাতালে ছিল, এছাড়া সম্ভাব্য সেরা দলটাই গড়তে চাই। যে কোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই নতুন কিছু ক্রিকেটার দলে নেওয়া হয়েছে সামনে বিশ্বকাপকে চিন্তা করে। তাদেরকে দেখে নেওয়ার সুযোগ আছে। একই সঙ্গে ম্যাচ জেতাটাও গুরুত্বপূর্ণ।”

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে জাসপ্রিত বুমরাহ বলে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। সেই চোট পুরোপুরি ফিরে সেরে ওঠার সময় পায়নি। সেটিকে খুব একটা গ্রাহ্যও করছেন না অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে বাইরে থাকতে চান না একটি ম্যাচও।

“আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হলো, একটি ফরম্যাটই কেবল খেলি। তো ওভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে রাখতে হয়। পরের সিরিজের চিন্তা করলে সবসময়ই এই সিরিজ খেলা গুরুত্বপূর্ণ, এভাবে ভাবতে হয়।”

“অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তার সব ফরম্যাট খেলে। কেউ যদি দলে না থাকে, গিয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলতে পারে। সেটা তো আমার ক্ষেত্রে হয় না। আমাকে ওয়ানডে ক্রিকেট ও অনুশীলনের ওপরই নির্ভর করতে হয়। আল্লাহর রহমতে এখন ভালোর দিকে আছি।”