অনুমিত ড্র হয়েছে প্রথম স্তরের ম্যাচ। বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বৃষ্টির দাপটে খেলা হয়নি প্রথম দুই দিন। তৃতীয় দিন ১৯ উইকেট পড়লে জমে উঠে ম্যাচ। তবে চতুর্থ ও শেষ দিন অতটা দাপট দেখাতে পারেননি বোলাররা।
৯ উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে বৃহস্পতিবারের খেলা শুরু করে রাজশাহী। দ্রুতই বরিশালের ১৩৩ রান ছাড়িয়ে লিড নিয়ে নেয় দলটি। ৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুক্তার বাউন্ডারিতে দ্রুত এগোতে থাকেন। তার ব্যাটে দেড়শ ছাড়ায় রাজশাহীর সংগ্রহ।
২৯ বলে ৭ রান করা গাফ্ফারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৭০ রানের জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। ১৫৫ রানে থামে রাজশাহী। ৭০ বলে ৭ চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দেয় মুক্তারকে।
২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বরিশাল দ্রুত হারায় রাফসান আল মাহমুদকে। দ্বিতীয় উইকেটে শামসুল ইসলামের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাড় করান শাহরিয়ার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্দশ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে বরিশালের প্রতিরোধ ভাঙেন ফরহাদ হোসেন।
১৬১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রান করে ফিরেন শাহরিয়ার। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি শামসুল। ৬২ রানে করে তিনি বোল্ড হয়ে যান তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি স্পিনে।
শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। তবে ততক্ষণে তাদের রান চলে গেছে নাগালের বাইরে। তারা ৭ উইকেটে ২২৯ রান করার পর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ১৩৩
রাজশাহী ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ১২৫/৯) ৪৩.৪ ওভারে ১৫৫ (মুক্তার ৫৯*, গাফ্ফার ৭; রাব্বি ২/৪৫, সোহাগ ৩/৪১, তানভীর ৩/৪২, মনির ২/১৫, মোসাদ্দেক ০/১)
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৭৫ ওভারে ২২৯/৭ (শাহরিয়ার ১০২, রাফসান ৯, শামসুল ৬২, আল আমিন জুনিয়র ১২, মোসাদ্দেক ১০, সোহাগ ১১, নুরুজ্জামান ৩, রাব্বি ৯, সালমান ০; রেজা ০/৩২, মুক্তার ০/২১, গাফ্ফার ০/২৯, তাইজুল ৩/৫৫, সানজামুল ০/৫২, ফরহাদ ১/১৩, সাব্বির ৩/১৯)
ফল: ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: মুক্তার আলী