অলরাউন্ড সামর্থ্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের কম্বিনেশন। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়া একাদশ সাজানোর কাজটা হয়ে পড়ে কঠিন। সেই কাজটা কিছুটা সহজ করতে উন্মুখ মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের অলরাউন্ড সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যেতে চান সাকিবের পথ ধরে। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2018, 12:22 PM
Updated : 17 Oct 2018, 12:22 PM

আঙুলের চোটে ছিটকে পড়া সাকিবকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে নিজের সামর্থ্যের ঝলক এরই মধ্যে কিছুটা দেখিয়েছে মিরাজ। তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন বিভাগেই নিজের অবদান আরও বাড়ানোর দিকে থাকবে তার মনোযোগ।

“সাকিব ভাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। তিনি যখন খেলেন, আমি চেষ্টা করি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখার। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও লক্ষ্য থাকবে যতটুকু সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখার। তিনি অনেক উঁচু মানের ক্রিকেটার। তার সাথে আসলে আমার তুলনা চলে না।”

ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ইনিংসে ফিফটি পেয়েছিলেন মিরাজ। তারপর সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না। এশিয়া কাপে মিলেছে ব্যাটিংয়ে ছন্দে ফেরার আভাস। ছন্দটা ধরে রাখার দিকে মনোযোগ মিরাজের।

“সবাই ব্যাটিং নিয়ে আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। সবাই বলে, আমি অনেক ভালো ব্যাটিং করতে পারি। মাঝখানে একটু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসছে। ব্যাটিং নিয়ে এখন কাজ করছি। আশা করি সামনে হয়তো অবদান রাখতে পারব।” 

এশিয়া কাপের ফাইনালে দলের প্রয়োজনে লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন মিরাজ। উপহার দিয়েছিলেন শতরানের জুটি। খেলেছিলেন ৩২ রানের ইনিংস। এই ইনিংস ব্যাটিং নিয়ে মিরাজের ভাবনা বদলে দিয়েছে।

“আমিও ভাবিনি যে, ফাইনালে ওপেন করব। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেন, সিনিয়ররা সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোনো সময় এমন কিছু হতে পারে।” 

“এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটায় অনেক চাপ ছিল। এটা ভবিষ্যতে আমার জন্য অনেক কাজে দিবে। বড় বড় ইভেন্টে যখন ফাইনাল ম্যাচ হবে, ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ হবে, তখন এই ম্যাচগুলো অনেক কাজে দিবে।” 

অনেক চ্যালেঞ্জ উতরে আসা মিরাজের সামনে এখন নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ।

“আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। কঠিন চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। আর পেছন থেকে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট দেয়, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ায়রা যখন ব্যাক আপ করে, তখন নিজের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যায়।”