বোলিংয়ে বৈচিত্র্য বাড়িয়েছে মিরাজের আত্মবিশ্বাস

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে ওয়ানডেতে বদলে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং। এই সময়ে খুব একটা উইকেট পাননি তিনি। তবে দলের জন্য তার আঁটসাঁট বোলিং ছিল খুব কার্যকর। তরুণ এই অফ স্পিনার জানিয়েছেন, বোলিংয়ে বৈচিত্র্য বাড়ায় বেড়েছে তার আত্মবিশ্বাস। এখন ভাবতে পারছেন ভিন্নভাবে, সেটাই গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2018, 12:13 PM
Updated : 17 Oct 2018, 12:13 PM

চোটের জন্য সাকিব আল হাসান না থাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্পিন বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব থাকবে মিরাজের কাঁধে। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এই অফ স্পিনার জানান, সাকিব না থাকায় বোলিংয়ে আরও বেশি কিছু করার তাগিদ নিজের ভেতর অনুভব করছেন তিনি।

“আমাদের জন্য দুঃখজনক যে, সাকিব ভাই আমাদের সাথে নেই। আশা করি, তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন। (তার না থাকাটা আমার ওপর) চাপ নয়। এটা আমার কাছে বাড়তি দায়িত্বের মত হনে হচ্ছে। যেহেতু তিনি নেই, বোলিংটা আরেকটু বেশি ভালো করার দায়িত্ব থাকবে আমার।”

সাকিবের অনুপস্থিতিতে যে স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য আছে সেটা এশিয়া কাপে দেখিয়েছেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ে সফরে সেটা ধরে রাখতে চান তার ধারাবাহিকতা।

কদিন আগেও ওয়ানেডে দলে জায়গা অনিশ্চিত ছিল মিরাজের। বোলিংটা সেভাবে কার্যকর হচ্ছিল না। রান থামিয়ে রাখা কিংবা উইকেট নেওয়া কোনোটাই ঠিক মতো করতে পারছিলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিস্ফোরক দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসকে বেঁধে রেখে দিলেন সামর্থ্যের প্রমাণ। ছন্দটা ধরে রাখলেন এশিয়া কাপেও। বোলিংয়ের এই বদলে যাওয়ার পেছনের গল্পটা জানালেন মিরাজ।

“আমার কাছে মনে হয়, আমি আগের চেয়ে এখন একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। কিভাবে কি করতে হবে তা নিয়ে অন্যভাবে ভাবতে পারছি। মানসিকভাবে একটু শক্ত হয়েছি। আর বোলিংয়ে কিছু বৈচিত্র্য এনেছি, ওইগুলো হয়তো কাজে দিচ্ছে।”

“বৈচিত্র্য বলতে, আমি প্রায় সব সময় একই গতিতে বল করতাম। সিমের পজিশন থাকতো একই রকম। এখন সিমের পজিশনে পরিবর্তন এসেছে। আমি সিম গ্রিপ করতাম ৪৫ ডিগ্রিতে এখন বেশিরভাগ সময় ৯০ ডিগ্রিতে গ্রিপ করি। একটু মিক্স করে বল করছি। ক্রিজের ব্যবহার বাড়িয়েছি, ডেলিভারির জায়গাতে একটু পরিবর্তন করে বৈচিত্র্য এনেছি।”

সবশেষ ৯ ম্যাচে মিরাজ নিয়েছেন ৭ উইকেট। বেশিরভাগ ম্যাচে হাত ঘুরিয়েছেন নতুন বলে। উইকেট নেওয়ার চেয়ে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার দিকে ছিল তার মনোযোগ। টেস্টের উইকেট টেকিং বোলার কেন ওয়ানডেতে রান থামিয়ে রাখার দিকে মনোযোগী মিরাজ দিলেন তার ব্যাখ্যা।

“ওয়ানডেতে আমি প্রথম দিকে যখন বোলিং করি, ওপেনাররা তখন দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকে। তখন আমার দায়িত্ব থাকে রান আটকে বোলিং করার। আমি যদি রান থামিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমার যে বোলিং পার্টনার থাকবে, সে উইকেট বের করে নিতে পারবে। দিন শেষে কিন্তু দলের সাহায্য হচ্ছে।”

“ওয়ানডেতে সবসময় রোলটা থাকে রান থামিয়ে রাখার। হয়তো আমি উইকেট পাচ্ছি না, আমার পার্টনার যে আছে, হয়তো মাশরাফি ভাই, মুস্তাফিজ, সাকিব ভাই বা রুবেল ভাই উইকেট বের করে নিবে। আমি রান থামিয়ে রাখতে পারলে প্রতিপক্ষ চাপে পড়বে, আর অন্য বোলাররা উইকেট পাবে। এটাই আমার চেষ্টা, এর মধ্যে যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে আমি উইকেট পেয়ে যাব।”