একমাত্র ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ।
কক্সবাজারে সোমবার পাকিস্তানি মেয়েদের ৯৪ রানেই বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় জয় এসেছে ২১ ওভার বাকি থাকতেই।
৯.৫ ওভার বোলিং করে ২০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার কুবরা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি এটি। ৫ উইকেটও ছিল না আগে কারও। সেরা ছিল রুমানা আহমেদের ২০ রানে ৪ উইকেট।
পাকিস্তানি মেয়েদের শুরুটা এদিন খারাপ ছিল না। আয়েশা জাফর ও মুনিবা আলি গড়েন ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
১৮ রান করা মুনিবাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লতা মণ্ডল। ১৮ রানেই আয়েশাকে ফিরিয়ে কুবরা ধরেন প্রথম শিকার।
তিনে নেমে অধিনায়ক জাভেরিয়া খান করেন দলের সর্বোচ্চ ২৯ রান। কিন্তু দলের বাকি ৮ ব্যাটারের কেউ ৫ রানের বেশিই করতে পারেননি। দুই পাশ থেকে কুবরার অফ স্পিন ও রুমানার লেগ স্পিনের কোনো জবাব পায়নি পাকিস্তান। শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা ১৮ রানের মধ্যে।
কুবরার অসাধারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ করেছেন অধিনায়ক রুমানাও। ৮ ওভারে মাত্র ১৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা শঙ্কা জাগিয়েছিল বাজে কিছুর। ইনিংসের প্রথম বলেই সানা মির আউট করেন আয়েশা রহমানকে। চতুর্থ ওভারে রান আউট হয়ে যান দেড় বছর পর দলে ফেরা ওপেনার শারমিন আক্তার। ৬ রানে নেই ২ উইকেট।
জয়ের সুবাস নিয়ে আউট হয়ে গেছেন অবশ্য দুই জনই। ৭০ বলে ৩৪ করেছেন অধিনায়ক রুমানা। ষষ্ঠ ওয়ানডে ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থমকে গেছেন ফারজানা। ৩ চারে ৪৮ করেছেন ৮১ বলে।
খানিক পরই ধরা দিয়েছে জয়। ৩৬ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের এটি অষ্টম জয়। তিনটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩৪.৫ ওভারে ৯৪ (জাভেরিয়া ২৯, আয়েশা ১৮, মুনিবা ১৮; জাহানারা ১/১৯, পান্না ০/১৩, লতা ১/১১, সালমা ০/১১, কুবরা ৬/২০, রুমানা ২/১৫, ফাহিমা ০/২)।
বাংলাদেশ: ২৯ ওভারে ৯৫/৪ (আয়েশা ০, শারমিন ৩, ফারজানা ৪৮, রুমানা ৩৪, লতা ৩*, ফাহিমা ৫*; সানা ২/২০, ডায়না ১/১৮)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী