সেঞ্চুরির পাশাপাশি ইমাম-উল-হকের সঙ্গে হাফিজ গড়েছেন দুইশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবাই টেস্টের প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেট ২৫৫।
দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে হাফিজ করেছেন ১২৬ রান, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
ইমামের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ২০৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের এটি মাত্র দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি উদ্বোধনী জুটি। আগের একমাত্র জুটি ছিল সেই ১৯৬৪ সালে আব্দুল কাদির ও খালিদ ইবাদুল্লাহর ২৪৯।
বল টেম্পারিং বিতর্কে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের নিষেধাজ্ঞার পর এই টেস্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে অনেকটা নতুন চেহারার অস্ট্রেলিয়া দল। অভিষেক হয়েছে তিন জনের, আরও দুই জন ফিরেছেন প্রায় দুই বছর পর। কিন্তু নবযাত্রার দিনটি খুব সুখকর হয়নি তাদের।
দুবাইয়ের নিষ্প্রাণ উইকেট টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। নতুন বলে মিচেল স্টার্ক ও পিটার সিডল খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। নবম ওভারেই অফ স্পিনার নাথান লায়নকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক টিম পেইন। কিন্তু লায়ন কিংবা দ্বিতীয় স্পিনার জন হল্যান্ড, সুবিধা করতে পারেননি কেউ।
হাফিজ ও ইমাম শুরু থেকেই খেলেছেন স্বচ্ছন্দে। ইমাম তুলনামূলক একটু সাবধানী ছিলেন, হাফিজ রান করেছেন অনায়াসে। দুজনের জুটিই খেলে ফেলে ৬৩ ওভার। ২০০০ সালের পর থেকে এই প্রথমবার প্রথম ৬০ ওভারে কোনো উইকেট নিতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। এই ৬৩ ওভারে মাত্র ১০টি ডেলিভারিতে হাফিজ ও ইমামকে পরাস্ত করতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলারদের দুর্দশা প্রমাণ করে এই তথ্যই।
৭৬ রান করা ইমামের বিদায়ে ভেঙেছে দীর্ঘ এই জুটি। ৭ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস খেলে বাঁহাতি ওপেনার কটবিহাইন্ড হয়েছেন লায়নের বলে।
হাফিজ দশম টেস্ট সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৭২ বলে। তবে খুব লম্বা হয়নি দ্বিতীয় জুটি। ১৫ চারে ২০৮ বলে ১২৬ রান করে হাফিজ আউট হয়েছেন পিটার সিডলের বলে।
এই দুজন আউট হওয়ার পর প্রায় থমকে যায় রানের গতি। অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা ভালো লাইন-লেংথে বল করেছেন বটে, তবে আজহার আলি ও হারিস সোহেলের অতি সতর্ক ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান হারিয়ে বসে মোমেন্টাম। লাভ হয়নি তাতেও। ৮০ বলে ১৮ রান করে বাঁহাতি স্পিনার হল্যান্ডের বলে আউট হয়ে যান আজহার। তৃতীয় জুটিতে ১৮.২ ওভারে আসে মাত্র ২২ রান।
হারিস সোহেল ও নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাস মিলে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন। শেষ বিকেলে উইকেট হারালেও হাফিজ ও উদ্বোধনী জুটির সৌজন্যে দিনটি পাকিস্তানেরই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৯০ ওভারে ২৫৫/৩ (ইমাম ৭৬, হাফিজ ১২৬, আজহার ১৮, হারিস ১৫*, আব্বাস ১*; স্টার্ক ০/৬৬, সিডল ১/২৩, লায়ন ১/৬৩, হল্যান্ড ১/৭২, লাবুশেন ০/৯, মিচেল মার্শ ০/৫)।