‘ভারতের কাছে এই হারের কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না’

হারের পর হতাশায়, বেদনায় যেন উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। রকিবুল হাসান ও মিনহাজুর রহমান শুয়ে ছিলেন ক্রিজের দুই প্রান্তে। প্যাভিলিয়নে যেন জমে গিয়েছিলেন তাদের সতীর্থরা। ম্যাচ শেষে শামিম হোসেন জানালেন, ভারতের কাছে অমন নাটকীয় ২ রানের হারের পর ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2018, 01:32 PM
Updated : 4 Oct 2018, 02:04 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুব এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে ভারতের ১৭২ রান তাড়ায় ১৭০ রানে থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

বারবার দিক পাল্টানো ম্যাচে এক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। তখন ওভার বাকি ছিল ১৫টি, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলের হার কোনোভাবেই মানতে পারছে না শামিম।

“এমন হারের কষ্টটা তো বলে বুঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার (কান্না)।”

লক্ষ্য তাড়ায় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে কিপার আকবর আলীর সঙ্গে ৭৪ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন শামিম। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাচে ফিফটি পাওয়া এই অলরাউন্ডার পারেননি শেষরক্ষা করতে। কষ্টটা বুকে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে চান তিনি।

“আমার লক্ষ্য ছিল, আমি ম্যাচটা শেষ করে আসব। আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভালোই করেছে, কিন্তু ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল। ...সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্টগুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়।”

শ্রীলঙ্কার কাছে যার হার দিয়ে যুব এশিয়া কাপ শুরু করে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে হারায় পাকিস্তান ও হংকংকে। শামিম জানান, টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন তারা।

“এই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেওয়ার আছে। ... আসলে হাঁটতে হাঁটতে মানুষ জয়ের পথে যায়, এটাই (সবচেয়ে বড় শিক্ষা)।