বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৫ উইকেটে ৩০০ রান নিয়ে দিন শুরু করে রংপুর। শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান সাজেদুল ইসলামকে হারায় তারা। বেশিক্ষণ টিকেননি কিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ।
আরিফুলের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান সোহরাওয়ার্দী শুভ। ডাবল সেঞ্চুরি তখনও অনেক দূরের পথ। নবম উইকেটে মোহাম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়ার পথে কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছান আরিফুল।
দলকে পাঁচশ রানে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ৩২৫ বলে খেলা তার ২৩১ রানের ইনিংসটি গড়া ২১ চার ও ৪ ছক্কায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ১৬২ রান ।
অফ স্পিনার সোহাগ গাজী আরিফুলকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ৫০২ রানে গুটিয়ে যায় রংপুরের প্রথম ইনিংস।
বাঁহাতি স্পিনার মনির ৩ উইকেট নেন ১২৮ রানে। সোহাগ ১৪২ রানে নেন তিনটি।
বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে দিন শেষে ১ উইকেটে ৯১ রান করেছে বরিশাল। রাফসান আল মাহমুদ ৫৩ ও ফজলে মাহমুদ ১২ রানে ব্যাট করছেন।
শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন রাফসান। দুই চারে ২৪ রান করা নাফীসকে বোল্ড করে শুরুর জুটি ভাঙেন মাহমুদুল। দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন রাফসান ও মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩০০/৫) ১৪৫.২ ওভারে ৫০২ (জাহিদ ৬২, মোসাদ্দেক ৭, মাহমুদুল ৭, নাঈম ৯২, তানবীর ৯, আরিফুল ২৩১, সাজেদুল ৯, ধীমান ২৮, শুভ ৪৫, সাদ্দাম ৬, শুভাশীষ ২*; রাব্বি ২/৯৪, লিঙ্কন ১/৪৬, সালমান ১/২৪, সোহাগ ৩/১৪২, মাহমুদ ০/৪৮, মনির ৩/১২৮, নুরুজ্জামান ০/১৪, আল আমিন ০/১, রাফসান ০/৪)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩৪ ওভারে ৯১/১ (শাহরিয়ার ২৪, রাফসান ৫৩*, মাহমুদ ১২*; শুভাশীষ ০/১৫, সাজেদুল ০/২৪, সাদ্দাম ০/১১, মাহমুদুল ১/২৫, তানবীর ০/১৪)