প্রায় দুই বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন জুবায়ের। গত মৌসুমে এনসিএল ও বিসিএল- প্রথম শ্রেণির দুই টুর্নামেন্টেই ছিলেন দর্শক হয়ে। কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে।
এমনিতে ঢাকা, ঢাকা মেট্রোর খেলোয়াড় হলেও জুবায়ের এই মৌসুমে খেলছেন চট্টগ্রামের হয়ে। আস্থার প্রতিদান দিলেন প্রথম দিনই, ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট।
ফতুল্লার খান সাহেব উসমান আলী স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে একটা ধাক্কা খায় ঢাকা। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার আব্দুল মজিদ।
রনি তালুকদার ও সাইফ হাসানের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ঢাকা। থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন নাঈম। অফ স্পিনারের বলে কিপার মাহিদুল ইসলামের গ্লাভসবন্দি হন সাইফ (৩৪)। ১৪৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান করা রনি ফিরেন বোল্ড হয়ে।
ধাক্কা সামাল দিয়ে মোশাররফ হোসেনের ব্যাটে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেলেন তাইবুর রহমান। তাদের ৬১ রানের রানের ওপর ভর দিয়ে ৫ উইকেটে ২২৯ রানের ভালো অবস্থানে পৌঁছায় ঢাকা।
এরপরই জুবায়েরের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানে থেমে যায় ঢাকা। শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। শুরুটা করেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা তাইবুরকে দিয়ে। পরে বিদায় করেন মোহাম্মদ শরীফ, মাহবুবুল আলম ও নাজমুল ইসলামকে।
৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার জুবায়ের। নাঈম ৩ উইকেট নেন ৭৪ রানে। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ ২ উইকেট নেন ৩৬ রানে।
জবাব দিতে নেমে শেষ বেলায় শাহাদাত হোসেনের পেসে ইরফান শুক্কুর ও মুমিনুল হককে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দুই ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্রথম দিন শেষে চট্টগ্রামের স্কোর ২৫/২। সাদিকুর রহমান ২৩ ও তাসামুল হক ২ রানে ব্যাট করছেন।
পেসার শাহাদাত ২ উইকেট নিয়েছেন ১৮ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ২৩৮ (মজিদ ৩, রনি ৫৯, সাইফ ৩৪, শুভাগত ২৩, তাইবুর ৬৩, নাদিফ ১০, মোশাররফ ২২, শরিফ ৪, মাহবুবুল ০, নাজমুল ২, শাহাদাত ১*; সাইফ ০/৩৬, হাসান ২/৩৬, ইরফান ০/১৭, নাঈম ৩/৭৪, জুবায়ের ৫/৬১)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৭ ওভারে ২৫/২ (সাদিকুর ২৩*, শুক্কুর ০, মুমিনুল ০, তাসামুল ২*; শাহাদাত ২/১৮, শরিফ ০/৭)