দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম দিনের খেলা শেষে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৩২ রান। মেহরাব হোসেন জুনিয়র ২৮ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১ রানে ব্যাট করছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সৈকত আলীর সঙ্গে ১১২ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাদমান। ৫ চারে ৪২ রান করা সৈকতকে ফিরিয়ে অতিথিদের শুরুর জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ চৌধুরী।
দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে আরেকটি ১১২ রানের জুটি উপহার দেন সাদমান। ৩৪ রান করা শামসুরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র।
অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ফিরেন সাদমান। তার আগে খেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস। শাহানুর রহমানের বলে সায়েম আলমকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় সাদমানের ১৫৭ রানের ইনিংস। বাঁহাতি এই ওপেনারের ২৩৮ বলের ইনিংসটি গড়া ২০ চার ও ২ ছক্কায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ১৪০।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি সাদমানের ষষ্ঠ ও শেষ ছয় ম্যাচে তৃতীয় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তিন ইনিংসে এই ওপেনার করেছিলেন কেবল ২৯ রান।
পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফিরে যান মার্শাল। অধিনায়কের ৮৪ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি তিনটি।
তিন পেসার নিয়ে গড়া সিলেটের আক্রমণ প্রথম দিন সুবিধা করতে পারেনি। উইকেটের দেখা পাননি দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। এরই মধ্যে রান দেওয়ার সেঞ্চুরি হয়ে গেছে মূল স্পিনার এনামুল জুনিয়রের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৮৮ ওভারে ৩৩২/৪ (সাদমান ১৫৭, সৈকত ৪২, শামসুর ৩৪, মার্শাল ৫০, মেহরাব জুনিয়র ২৮*, আশরাফুল ১*; আবু জায়েদ ১/৪৬, খালেদ ০/৪৮, এনামুল জুনিয়র ১/১১৮, এবাদত ০/৪০, শাহানুর ২/৬১, কাপালী ০/১৫)