দিনের শেষ সেশন কাজে লাগিয়ে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন মিজানুর রহমান। তার ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছে রাজশাহী।
প্রথম স্তরের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২২ রান। মিজানুর ৭৪ ও জুনায়েদ সিদ্দিক ১ রানে ব্যাট করছেন। ৮৮ বলের ইনিংসে মিজানুর তুলে নিয়েছেন ১৩টি বাউন্ডারি।
রাজশাহীর উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে এক সেশনে ৭ বোলার ব্যবহার করেন আব্দুর রাজ্জাক। সাফল্য মিলে দিনের শেষ ওভারে। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে ১১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন।
এর আগে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে রবিউল ইসলাম রবি ও আফিফকে ফিরিয়ে দেন শফিউল।
শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া এনামুল হক টিকেননি বেশিক্ষণ। ১৫ বলে ৬ চারে খেলা ২৬ রানের ইনিংস শেষ হয় ফরহাদ রেজার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে।
সঙ্গী পাচ্ছিলেন না তুষার। তিনি ক্রিজে যাওয়ার পর দ্রুত ফিরেন এনামুল, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান। মিডল অর্ডারে খানিকটা সঙ্গ দেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ৪৯ রানের জুটি ভাঙার সঙ্গে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন শফিউল।
নিয়মিত উইকেট হারানো খুলনার সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায় অষ্টম উইকেটে তুষারের সঙ্গে নাহিদুল ইসলামের ৮৮ রানের জুটির ওপর ভর করে। এই জুটি গড়ার পথেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তুষার। তাকে কট বিহাইন্ড করে খুলনার প্রতিরোধ ভাঙেন দেলোয়ার হোসেন।
জহুরুল ইসলামের গ্লাভস বন্দি হওয়ার আগে ১৪৪ বলে ১৪ চার ও দুই ছক্কায় তুষার করেন ১০৪ রান। তার বিদায়ের পর বেশি দূর এগোয়নি শিরোপাধারীদের ইনিংস।
৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার শফিউল। দুটি করে উইকেট নেন দেলোয়ার ও সানজামুল ইসলাম।
খুলনা ১ম ইনিংস: ৫২.৩ ওভারে ২১০ (রবি ৩, এনামুল ২৬, আফিফ ০, তুষার ১০৪, সোহান ৪, মেহেদি ৭, সৌম্য ১৩, জিয়া ১, নাহিদুল ২৬, রাজ্জাক ৪*, আল আমিন ০; শফিউল ৫/৪৩, রেজা ১/৬০, দেলোয়ার ২/৩৩, তাইজুল ০/৩৩, সানজামুল ২/২৫)
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৯ ওভারে ১২২/১ (শান্ত ৪৬, মিজানুর ৭৪*, জুনায়েদ ১*; আল আমিন ০/২১, জিয়া ০/২০, রাজ্জাক ০/৪৩, সৌম্য ০/৯, মেহেদি ০/১২, নাহিদুল ০/১২, আফিফ ১/৫)