নিজের প্রতিভা, দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং আর দারুণ সব শট খেলার সামর্থ্যটা আগেও জানান দিয়েছেন লিটন। তবে সেসব কেবলই ছিল ঝলক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানে তো কেবল ঝলকই নয়, প্রয়োজন লম্বা সময় রোশনাই ছড়ানো। অনেক আক্ষেপ ও হতাশার প্রহরের পর অবশেষে লিটন জানাতে পারলেন, এই পর্যায়ের ক্রিকেটেও খেলতে পারেন বড় ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির জন্য বেছে নিলেন বড় মঞ্চ। তিন অঙ্কের অচেনা স্বাদ প্রথম পেলেন ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনালে।
এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন উদ্বোধনী জুটিতে নতুন সঙ্গী নিয়ে। ওপেনিং জুটির টানা ব্যর্থতায় জুয়া খেলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয় ওয়ানডেতে কখনোই আগে ছয়ের ওপরে না খেলা মেহেদী হাসান মিরাজকে। জুয়ায় জিতে যায় দল। মিরাজকে নিয়ে দলকে ১২০ রানের জুটি এনে দেন লিটন। ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে যেটি রেকর্ড।
জুটিতে মিরাজের দায়িত্ব ছিল স্রেফ এক পাশ আগলে রাখা। আরেক পাশে লিটনের ব্যাট ছিল উত্তাল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন ৩৩ বলে। জীবন পাওয়ার পর আর ঝুঁকির পথে হাঁটেননি। রান এর পরও করেছেন অনায়াসেই। পরের পঞ্চাশে লেগেছে ৫৪ বল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ৮৭ বলে।
সেঞ্চুরির পরও খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। আরেকপাশে একের পর এক দ্রুত উইকেটের পতনেও ছিলেন অবিচল। পথ দেখাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ৪১তম ওভারে কুলদীপ যাদবের বলে স্টাম্পড হয়ে গেলেন ১১৭ বলে ১২১ রানে।
তবে লিটন ততক্ষণে দিয়েছেন অনেক প্রশ্নের উত্তর। এই ইনিংসের পর তার ওপর আরও বিনিয়োগ করার সাহস পাবে দল। সবচেয়ে বড় করা, লিটন এরপর হয়তো আস্থা রাখতে পারবেন নিজের সামর্থ্যে। এখান থেকেই শুরু হতে পারে তার দিশাহারা ক্যারিয়ারের নতুন যাত্রা।