হার না মানা হার বাংলাদেশের

ব্যাটিংয়ে লড়াইটা যেন ছিল লিটন দাসের একার। তার ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়েও স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলিংয়ে লড়াই করলেন সবাই মিলে। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই হলো। শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে বীরের মতো হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2018, 11:03 AM
Updated : 28 Sept 2018, 08:30 PM

রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। জিতে নিয়েছে এশিয়া কাপের সপ্তম শিরোপা।

তিন পেসার রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা বেশ ভুগিয়েছেন ভারতের ব্যাটসম্যানদের। তাদের দারুণ বোলিংয়েই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষরক্ষা হয়নি, চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো হারতে হয় ফাইনালে।

শেষ বলে জিতে শিরোপা ভারতের

আরেকটি ফাইনাল, বাংলাদেশের আরেকটি হৃদয়ভাঙা হার। শেষ বলে জিতে শিরোপা জিতে নিল ভারত।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। দারুণ চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। প্রথম তিন বল থেকে ৪ রান তুলে নেন দুই ব্যাটসম্যান। পরের দুই বলে ১ রান নিলে জয়ের জন্য শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১ রান। লেগ বাইয়ে সেই রান তুলে ফেলে ভারত।

বাংলাদেশের দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় ভারত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.৩ ওভারে ২২২ (লিটন ১২১, মিরাজ ৩২, ইমরুল ২, মুশফিক ৫, মিঠুন ২, মাহমুদউল্লাহ ৪, সৌম্য ৩৩, মাশরাফি ৭, নাজমুল ৭, মুস্তাফিজ ২*, রুবেল ০; ভুবনেশ্বর ০/৩৩, বুমরাহ ১/৩৯, চেহেল ১/৩১, কুলদীপ ৩/৪৫, জাদেজা ০/৩১, কেদার ২/৪১)

ভারত: ৫০ ওভারে ২২৩/৭ (রোহিত ৪৮, ধাওয়ান ১৫, রাইডু ২, কার্তিক ৩৭, ধোনি ৩৬, কেদার ২৩*, জাদেজা ২৩, ভুবনেশ্বর ২১, কুলদীপ ৫*; মিরাজ ০/২৭, মুস্তাফিজ ২/৩৮, নাজমুল ১/৫৬, মাশরাফি ১/৩৫, রুবেল ২/২৬, মাহমুদউল্লাহ ১/৩৩)

ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী

ভুবনেশ্বরকে বিদায় করলেন মুস্তাফিজ

নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়ে দিলেন ভারতকে এগিয়ে নেওয়া ভুবনেশ্বর কুমারকে।

অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বল ড্রাইভ করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন ভুবনেশ্বর। ৩১ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ফিরেন ২১ রান করে।

৪৮.১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ২১৪/৭। ক্রিজে কেদার যাদবের সঙ্গী কুলদীপ যাদব। জয়ের জন্য শেষ ১১ বলে ৯ রান চাই ভারতের।  

জাদেজাকে ফেরালেন রুবেল

ভুবনশ্বের কুমারের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজার জমে যাওয়া জুটি ভাঙলেন রুবেল হোসেন। ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জাদেজাকে।

অফ স্টাম্পের বাইরের বল জাদেজার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। ফিরে যান ৩৩ বলে ১ চারে ২৩ রান করা জাদেজা।

৪৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ২১৪/৬। জাদেজার আউটের পর আবার মাঠে নেমেছেন হ্যামিস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া কেদার যাদব। ক্রিজে তার সঙ্গী ভুবনেশ্বর কুমার। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ভারতের।

চোট পেয়ে ক্রিজ ছাড়লেন কেদার

দ্রুত একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া কেদার যাদব দৌড়াচ্ছিলেন খুব কষ্ট করে। ৩৮তম ওভার শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইশারা দিলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

মাঠ ছাড়ার সময় ২০ বলে ১৯ রানে ছিলেন কেদার। ৩৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৬৭/৫। ক্রিজে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গী ভুবনেশ্বর কুমার। জয়ের জন্য শেষ ১২ ওভারে ৫৬ রান চাই তাদের।

ধোনিকে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ

শুরুর কঠিন সময়টা পার করে থিতু হয়ে যাওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার এই উইকেটে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।

বাঁহাতি পেসারের শরীরের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ধোনি। ৬৭ বলে ৩৬ রান করেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।

৩৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৬২/৫। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করা কেদার যাদবের সঙ্গে ক্রিজে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভার আর ৬১ রান চাই ভারতের।

কার্তিককে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ

আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা মাহমুদউল্লাহ ভাঙলেন ভারতের প্রতিরোধ গড়া জুটি। ফিরিয়ে দিলেন দিনেশ কার্তিককে।

মিডল স্টাম্প সোজা নীচু ফুলটস ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি কার্তিক। ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। ৬১ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৩৭ রানে কার্তিকের বিদায়ে ভাঙে ৫৪ রানের জুটি।

৩১ ওভারে ভারতের স্কোর ১৩৯/৪। ক্রিজে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গী ভারতের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কেদার যাদব।  

কার্তিক-ধোনির জুটিতে পঞ্চাশ

ছবি: এসিসি

মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভুগছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও দিনেশ কার্তিক, রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছিল তাদের। পেসাররা আক্রমণ থেকে সরার পর যেন স্বস্তি পেলেন দুই জনেই। এলো বাউন্ডারি, কমলো ডট বলের সংখ্যা। প্রান্ত বদল করে সচল করলেন থমকে যাওয়া রানের চাকা।

মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৭১ বলে।

২৯ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৩৪/৩। কার্তিক ২৮ ও ধোনি ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।  

ভারতের একশ

মুস্তাফিজুর রহমানকে চার হাঁকিয়ে ভারতের স্কোর তিন অঙ্কে নিয়ে গেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৮.৩ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল ভারতের স্কোর। একশ রানে গেল ২৪.১ ওভারে।

২৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১০৫/৩। দিনেশ কার্তিক ২৫ ও ধোনি ১২ রানে ব্যাট করছেন।

বিপজ্জনক রোহিতকে ফেরালেন রুবেল

রুবেল হোসেনের আগের ওভারে হুক করে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এবার শর্ট বল উড়াতে চেয়েছিলেন পুল করতে। কিন্তু পার করতে পারলেন না সীমানা। রুবেলের হাত ধরে এলো ভারত অধিনায়কের দামী উইকেট।

ডিপ স্কয়ার ও ডিপ ফাইন লেগের মাঝে ত্রিশ গজের ব্যবধান ছিল। গ্যাপে খেলতে পারেননি রোহিত। কিছুটা দৌড়ে চমৎকার এক ক্যাচ নেন নাজমুল ইসলাম। 

৫৫ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে ৪৮ রান করে ফিরেন রোহিত। ১৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৮৩/৩। ক্রিজে দিনেশ কার্তিকের সঙ্গী অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি। 

পাওয়ার প্লেতে ভারতের ২ উইকেট

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভারতের দুটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। শিখর ধাওয়ানের পর ফিরিয়ে দিয়েছে অম্বাতি রাইডুকে।

১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫৭/২। রোহিত শর্মা ৩৬ ও দিনেশ কার্তিক ৩ রানে ব্যাট করছেন। ভারতকে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন অধিনায়ক। এরই মধ্যে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি ছক্কা। সঙ্গে হাঁকিয়েছেন তিনটি চার।

বোলিংয়ে এসেই মাশরাফির আঘাত

বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অম্বাতি রাইডুকে।

অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল রাইডুর ব্যাটের কানা ছুয়ে জমা পড়ে মুশফিকের গ্লাভসে। চার ওভারের মধ্যে ভারত হারায় দ্বিতীয় উইকেট।

৭ বলে ২ রান করে ফিরেন রাইডু। ৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৪৮/২। ক্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গী দিনেশ কার্তিক।

ধাওয়ানকে ফেরালেন নাজমুল

বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেই সাফল্য পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নাজমুল ইসলাম অপু তাকে এনে দিলেন কাঙ্ক্ষিত উইকেট। পঞ্চম ওভারে ভাঙল ভারতের উদ্বোধনী জুটি।

ছক্কায় নাজমুলকে বোলিংয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। স্ট্রাইক পেয়ে শিখর ধাওয়ান তুলে নিয়েছিলেন বাউন্ডারি। তাতে এলোমেলো হয়ে যাননি বাঁহাতি স্পিনার। তার অফ স্টাম্পের বাইরে ফেলা মিড অফের ওপর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে ধাওয়ান ধরা পড়েন সৌম্য সরকারের হাতে।

১৪ বলে তিন চারে ১৫ রান করে ফিরেন ধাওয়ান। ৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩৫/১। ক্রিজে রোহিত সঙ্গী অম্বাতি রাইডু।

২২২ রানে অলআউট বাংলাদেশ

রুবেল হোসেনকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে থামালেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ম্যাচে এটাই ভারতীয় এই পেসারের প্রথম উইকেট।

৪৮.৩ ওভারে ২২২ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটির পর হয়নি তেমন কোনো জুটি।

১২১ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে ৩২ রান আসে মেহদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে।

এই দুই জনের বাইরে দুই অঙ্কে যান কেবল সৌম্য সরকার। তিনিসহ তিন ব্যাটসম্যান ফিরেন রান আউট হয়ে।

কুলদীপ যাদব ৩ উইকেট নেন ৪৫ রানে। কেদার যাবদ ৪১ রানে দুটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.৩ ওভারে ২২২ (লিটন ১২১, মিরাজ ৩২, ইমরুল ২, মুশফিক ৫, মিঠুন ২, মাহমুদউল্লাহ ৪, সৌম্য ৩৩, মাশরাফি ৭, নাজমুল ৭, মুস্তাফিজ ২*, রুবেল ০; ভুবনেশ্বর ০/৩৩, বুমরাহ ১/৩৯, চেহেল ১/৩১, কুলদীপ ৩/৪৫, জাদেজা ০/৩১, কেদার ২/৪১)

সৌম্যও রান আউট

দুই রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখার চেষ্টায় রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় রান আউট।

৪৫ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৩৩ রান করে ফিরে যান সৌম্য।

রান আউট নাজমুল

আরও একটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন নাজমুল ইসলাম অপু।

জাসপ্রিত বুমরাহর বল ব্যাটে খেলতে পারেননি নাজমুল। তার প্যাডে লেগে বল যায় পয়েন্টে। রান নিতে ছুটেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কিন্তু সাড়া মিলেনি সৌম্য সরকারের। এতো দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল যে ফেরার উপায় ছিল না। ছুটে গিয়ে বেলস ফেলে দেন ফিল্ডার মনিশ পান্ডে।

বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় রান আউট। তৃতীয়টি হতে পারতো পরের বলেই। ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান বেশ বাইরে ছিলেন কিন্তু মনিশের থ্রো স্টাম্পে লাগেনি।

৪৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২১৩/৮। সৌম্য সরকার ২৭ ও মুস্তাফিজ শূন্য রানে ব্যাট করছেন।

ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরে গেলেন মাশরাফি

ডিপ মিডউইকেট দিয়ে কুলদীপ যাদবকে ছক্কায় উড়ানোর পর এই চায়নাম্যানকে উইকেট দিয়ে ফিরে গেলেন মাশরাফি। কুলদীপের পরপর দুই ওভারে স্টাম্পড হলেন দুই জন ব্যাটসম্যান।

বেরিয়ে এসে কুলদীপকে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। ব্যাটে বলে করতে পারেননি, বল গ্লাভসে জমিয়েই বেলস ফেলে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সপ্তম উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৬/৭। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী দলে ফেরা নাজমুল ইসলাম। 

স্টাম্পড হয়ে ফিরলেন লিটন

কেদার যাবদের আগের ওভারে সৌম্য সরকারের ছক্কায় গলায় চেপে বসা ফাঁস কিছুটা আলগা হয়েছিল। কুলদীপ যাদবের প্রথম পাঁচ বল থেকে ১০ রান তুলে নিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু সেই শেষ বলে তিনি স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান।   

বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের গুগলি পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। বলে ব্যাটে করতে না পারায় পেছনের পা বেরিয়ে আসে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত বেলস ফেলে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

১১৭ বলে ১২ চার ও দুই ছক্কায় ১২১ রান করে ফিরে যান লিটন। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৮/৬। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

টিকলেন না মাহমুদউল্লাহও

ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ মুক্ত হতে গিয়ে উল্টো দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।

শতরানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারানো বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি জুটির, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের। সেখানে ছক্কার চেষ্টায় ফিরে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।

রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল স্লগ করে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার লক্ষ্য পূরণ হয়নি, সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান জাসপ্রিত বুমরাহ।

১৬ বলে ৪ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। ৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫২/৫। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী ওপেনিং থেকে সাত নম্বরে নেমে আসা সৌম্য সরকার।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে লিটনের সেঞ্চুরি

ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য অনেকবারই দেখিয়েছেন লিটন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। অবশেষে দেখা গেলো তার ঝলক, পঞ্চাশ ছোঁয়া প্রথম ইনিংসকে নিয়ে গেলেন তিন অঙ্কে।

৩৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া লিটন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৮৭ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৯টি চার ও দুটি ছক্কা।

২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৫/৪। লিটন ১০০ ও মাহমুদউল্লাহ ১ রানে ব্যাট করছেন।

মিঠুনের রান আউটে বিপদে বাংলাদেশ

হঠাৎ করে যেন দিশেহারা বাংলাদেশ। দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্যাটসম্যানরা যেন ভুলে গেছেন ক্রিকেটের মৌলিক ব্যাপারগুলো। তার মাশুল দিয়ে রান আউট হয়ে গেলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

যুজবেন্দ্র চেহেলকে ড্রাইভ করেছিলেন লিটন। এক্সট্রা কাভারে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান রবীন্দ্র জাদেজা। বল থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে মিঠুন এগিয়ে যান রান নিতে। ফিল্ডারের হাতে বল দেখে ফিরে যান লিটন। যার ফল, দুই ব্যাটসম্যানই পৌঁছে যান এক প্রান্তে। রান আউটের সহজ সুযোগ কাজে লাগায় ভারত। ৪ বলে ২ রান করে ফিরে যান মিঠুন।    

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৯/৪। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

ভালো শুরুর পর দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। কেদার যাদবের বলে বাজে শটে ফিরে গেলেন টুর্নামেন্টে দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

অফ স্টাম্পের বাইরের বাজে বলে ডিপ মিডউইকেটে জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৯ বলে ৫ রান করে ফিরে যান এই কিপার ব্যাটসম্যান।

২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৮/৩। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন।

দ্রুত ফিরলেন ইমরুল

শতরানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুত আরেকটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েস।

লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলকে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ইমরুল। ব্যাটের কানা ও সামনের পায়ের ফাঁক গলে বল স্পিন করে লাগে পে‌‌ছনের পায়ে। এলবডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে নন স্ট্রাইকার লিটনের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন ইমরুল। কিন্তু ইম্প্যাক্ট আম্পায়ার্স কল হওয়ায় ফিরে যেতে হয় তাকে। 

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৮/২। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম।

মিরাজের আউটে ভাঙল রেকর্ড জুটি

লিটন দাসের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটি উপহার দিয়ে ফিরে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে ফিরিয়ে ১২০ রানের জুটি ভেঙেছেন কেদার যাদব।

অফ স্পিনারের বল জায়গা করে নিয়ে কাভার পয়েন্টের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মিরাজ। ঠিক মতো পারেননি সহজ ক্যাচ যায় ফিল্ডার অম্বাতি রাইডুর হাতে।

প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে ৫৯ বলে তিন চারে ৩২ রান করে ফিরেন মিরাজ।

২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৪/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী  ইমরুল কায়েস।

লিটন-মিরাজের ব্যাটে শত রানের জুটি

লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দুই জনে শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ শুরু।

দল ও জুটির রান তিন অঙ্কে নিতে দুই ব্যাটসম্যান খেলেন ১০৭ বল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/০। লিটন ৭৩ ও মিরাজ ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সেরা জুটির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ সালে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার উদ্বোধনী জুটিতে করেছিলেন ১০২ রান।

জীবন পেলেন লিটন

লিটনের ভালো শুরু প্রায়ই শেষ হয় বাজে শটে। রবীন্দ্র জাদেজাকে চার হাঁকিয়ে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর হতে যাচ্ছিল তার আরেকটি মঞ্চায়ন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপ করে তুলে দিয়েছিলেন ক্যাচ। তবে মিডউইকেটে যুজবেন্দ্র চেহেল অনেক উঁচুতে ওঠা বল মুঠোয় নিতে না পারায় বেঁচে যান এই ওপেনার। সে সময় ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন লিটন।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৪/০। লিটন ৫৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

লিটনের প্রথম ফিফটি

প্রথম ফিফটিতে পৌঁছানোর জন্য যেন বড় কোনো মঞ্চের অপেক্ষায় ছিলেন লিটন দাস। এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছুঁলেন নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি।

৩৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় পঞ্চাশ রানে যান লিটন। তার দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ভিবি সিরিজের ফাইনালে দেশটির বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের করা ৩২ বলের ফিফটি এখনও দ্রুততম।

উইকেটশূন্য পাওয়ার প্লে

এশিয়া কাপের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারাল না বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজে ব্যাটে ফাইনালে ভালো শুরু পেয়ে গেছে তারা।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৫/০। লিটন ৪৭ ও মিরাজ ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

কোনো বাজে বল ছাড়ছেন না লিটন। পাওয়ার প্লেতে তুলেছেন ঝড়। পাঁচটি চারের পাশে হাঁকিয়েছেন দুটি ছক্কা। প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামা মিরাজের ব্যাটিংয়ে নেই চাপের কোনো ছাপ।    

লিটন-মিরাজ জুটির পঞ্চাশ

কাজে লেগে গেছে বাংলাদেশের ফাটকা। নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপেনিং জুটি গেছে জমে। দুই জনে ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম পঞ্চাশ রানের উদ্বোধনী জুটি।

দ্রুত রান তুলছেন লিটন। বাউন্ডারিতে বাড়াচ্ছেন রান। দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মিরাজ। দলের আর জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৪৬ বলে।

লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলকে এক ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন লিটন। ওপেনিংয়ে নতুন সঙ্গী পেয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন এই তরুণ।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৮/০। লিটন ৪১ ও মিরাজ ১৫ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের ভালো শুরু

বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছে উদ্বোধনী জুটি। লিটন দাস ও প্রথমেবারের মতো ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় টুর্নামেন্টে প্রথমবারের ২০ ছাড়িয়েছে উদ্বোধনী জুটির রান।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩/০। লিটন ২২ ও মিরাজ ৯ রানে ব্যাট করছেন। এই সময়ে দুই জনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি বাউন্ডারি। 

এশিয়া কাপের এবারের আসরে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিগুলো ছিল ১, ১৫, ১৫, ১৬, ৫।

ওপেনিংয়ে মিরাজ

বোলিংয়ে নিয়মিতই ইনিংস শুরু করেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের প্রয়োজনে এবার ব্যাটিংয়েও ওপেন করতে হলো তাকে। 

ওয়ানডেতে এর আগে কখনও ছয় নম্বরের উপরে ব্যাটিংয়ে নামেননি মিরাজ। নতুন বলে তার সামর্থ্যও পরীক্ষিত নয়। তবুও লিটন দাসের সঙ্গে নেমেছেন ইনিংস উদ্বোধন করতে। 

এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। কোনো ম্যাচেই দলকে এনে দিতে পারেনি ভালো শুরু। বারবার জুটিতে পরিবর্তন এনেও কোনো লাভ হয়নি। ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে বড় একটা জুয়াই খেলল বাংলাদেশ।   

ফাইনালে ফিরলেন ভারতের মূল খেলোয়াড়রা

আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়মিত একাদশের পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চেহেলকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একাদশে ফিরেছেন তারা। বাদ পড়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা খলিল আহমেদ, দীপক চাহার, লোকেশ রাহুল, মনিশ পান্ডে ও সিদ্ধার্খ কাউল।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, অম্বাতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চেহেল।

বাংলাদেশ দলে এক পরিবর্তন

ফাইনালের বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন একটি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের জায়গায় দলে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেদিন দুই অনিয়মিত বোলার মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকারকে দিয়ে ১৫ ওভার বোলিং করেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলার পাচ্ছেন অধিনায়ক।

বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ছবি: এসিসি

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টুর্নামেন্ট জুড়েই টস জিতলে ফিল্ডিং করে আসছে ভারত। সেখান থেকে আসার কোনো কারণ দেখেন না রোহিত।

শেষ লড়াইয়ে মাশরাফিরা

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর পাঁচটি ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ। যার দুটি চলতি বছরেই, শেষটি গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে। তেতো স্মৃতি ভুলে বাংলাদেশ চায় নতুন শুরু। ভারতকে হারিয়ে চায় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।

দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়।  

প্রথম ম্যাচের পর থেকে দলের সঙ্গে নেই তামিম ইকবাল। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের আগে ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। মাশরাফি বিন মর্তুজার পাশাপাশি চোট নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। মুস্তাফিজুর রহমানের শরীরেও আছে ব্যথা। প্রচণ্ড গরমে গোটা দলই ক্লান্ত। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার রেশ না কাটতেই নামতে হচ্ছে ফাইনালে।

শরীর বিদ্রোহ করলেও দমে যায়নি মাশরাফিদের হৃদয়। মনের জোরের ভরসাতেই ফাইনালের মহারণে নামছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ও তার দল।