বুধবার পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার ম্যাচে শোয়েব মালিককে ফেরানো অসাধারণ ক্যাচটা নেওয়ার সময় এই চোট পান মাশরাফি। রুবেল হোসেনের বলে শর্ট মিড উইকেটে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় শূন্যে ভেসে ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ক্যাচটি নেওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়েছিলেন তখনই। বাঁ হাতে বলটি উঁচিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মূর্তির মতো। ক্যাচের মতোই দর্শনীয় উদযাপন। তবে আঙুল চেপে ধরে ছেড়েছেন মাঠ। কিছুক্ষণ পর আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়ে আবার ফিরেছেন মাঠে। বোলিং করেছেন। ফিল্ডিংয়ে ঝাঁপিয়েছেন। ওই আঙুলে আবার ব্যথা পেয়েছেন। তবু দলের জয় সঙ্গে নিয়েই ছেড়েছেন মাঠ।
দেড় যুগের ক্যারিয়ারে চোটের সঙ্গে নিত্য বাস করতে করতে ধরনগুলোও খুব ভালো বোঝেন মাশরাফি। অনেক সময় হাত বুলিয়েই বুঝে নিতে পারেন চোটের অবস্থা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক তার আঙুলের অবস্থা জানান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
“শোয়েব মালিকের শটে জোর ছিল বেশ। বাঁ হাতে জমে যাওয়ার আগে ডান হাতেও ছুঁয়ে গেছে। তখনই বুঝেছি, ডিসলোকেট হয়েছে। টেনে ঠিক করে দিয়েছি। ব্যথা আছে বেশ। ফিজিও আঙুল দেখে বলেছেন, ছোটখাট চিড় থাকতে পারে। স্ক্যান করালে হয়ত বোঝা যাবে।”
“তবে আমি এখন এটা নিয়ে ভাবছিই না। ফাইনাল তো খেলতে হবেই। এটা নিয়ে ভাবলেই বাড়তি একটা যন্ত্রণা যোগ হবে।”
কিন্তু যদি চিড় সত্যিই থাকে? প্রশ্ন শুনে হাসলেন অধিনায়ক, “সাকিব ভাঙা আঙুল নিয়ে এতগুলো ম্যাচ খেলে গেল, আমি একটা ফাইনাল পারব না?”
দলটায় এখন একেকজন এরকমই, পরস্পরের অনুপ্রেরণা। আর মাশরাফি যখন ঠিক করেন খেলবেন, তাকে দমিয়ে রাখার সাধ্য কোন চোটের!