মুশফিকের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন মুমিনুল হক। শান্তর পাশাপাশি ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের।
তামিমের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরই শান্তর সম্ভাবনার শুরু। বিকল্প ওপেনার হিসেবেই স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছিল তাকে। তামিম ছিটকে যাওয়ার পর তিনিই হওয়ার কথা ছিল স্বয়ংক্রিয় পছন্দ। তবে সমীকরণে চলে এসেছিল মুমিনুলের নামও।
এশিয়া কাপের জন্য প্রথম ঘোষিত স্কোয়াডের ১৫ জনের সঙ্গে পরে যোগ করা হয় মুমিনুলকে। তামিমের জায়গায় শান্তর পাশাপাশি তার নামও ছিল আলোচনায়। শেষ পর্যন্ত দল ওপেনিংয়ে আস্থা রাখছে শান্তর ওপরই। গত ঢাকা লিগে সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, তার তিনটিই ছিল সুপার লিগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
অনেক দিন থেকেই শান্তকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি করছে দল। গত বছর একটি টেস্ট অবশ্য খেলেছেন, তবে সেটি ছিল ভাগ্যক্রমে। নিউ জিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের আগে তিন জন ব্যাটসম্যান চোটে পড়েছিলেন। শান্ত টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন না, দলের সঙ্গে ছিলেন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায়। কিন্তু একাদশ গড়তে হিমশিম অবস্থায় তার মাথায় টেস্ট ক্যাপ তুলে দেয় দল।
মুমিনুলের জন্যও এটি একরকম নতুন শুরুর মতোই। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। এরপর জায়গা হারিয়েছেন একাদশে। ক্রমে জায়গা হারিয়েছেন স্কোয়াড থেকেও। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়ে তোলা হয়েছিল প্রশ্ন।
প্রশ্ন আর সংশয় শেষ হয়নি এখনও। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ১৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিই মূলত আবার তাকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে। তার জন্য কাজটি শান্তর চেয়ে কঠিন। পরের ম্যাচেই মুশফিকের ফেরা প্রায় নিশ্চিত, তাই মুমিনুলকে কাজে লাগাতে হবে এই একমাত্র সুযোগ।
মুমিনুল একাদশে ফিরলেও অবশ্য পরিবর্তন হচ্ছে না তিন নম্বর পজিশনে। গত কিছুদিনের মতো তিনেই খেলবেন সাকিব। মুমিনুলকে চারে খেলানোর কথা ভাবছে দল।
বাংলাদেশের হয়ে এর মধ্যেই ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আবু হায়দার। গত কিছুদিনে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গাও প্রায় পাকা করে ফেলেছেন। ওয়ানডে দলের মূল তিন পেসার নিজেদের এমন জায়গায় নিয়েছেন, সেখানে জায়গা পাওয়া মুশকিলই ছিল। সুযোগটি করে দিল এশিয়া কাপের অদ্ভুতূড়ে সূচি। ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার সুযোগ পাচ্ছেন কিছু করে দেখানোর।
আরিফুল হককে খেলানোর কথাও বিবেচনায় ছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দলের যা ভাবনা, তাতে মোসাদ্দেক হোসেনকে আরও সুযোগ দিতে চায় দল। আরিফুলকে তাই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।