অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি ওপেনিংয়ে তামিমের এক যোগ্য সঙ্গী না পাওয়া। তবে তামিম থাকলে অন্তত একটি জায়গা নিয়ে নির্ভার থাকে দল। এখন সেই তামিম নেই। ওপেনিংয়ে দুই প্রান্তেই নেই ভরসা করার মতো কেউ।
অধিনায়কের তাতে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে যথেষ্টই। তবে তিনি চান, দুই ওপেনার খেলুক নির্ভার হয়ে। এবারের এশিয়া কাপ জায়গা পাকা করার বড় সুযোগ লিটনের জন্য। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছেন তিনি শূন্য রানে। শান্তর হবে ওয়ানডে অভিষেক। ভালো কিছু করলে ওপেনিংয়ে তামিমের ভবিষ্যৎ সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে ভালো ভাবেই থাকবেন তিনি।
দুজনের জন্যই তাই সুযোগ বেশ বড়। তামিম যেহেতু নেই, অন্তত কয়েকটি ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা আছে। জায়গা হারানোর চাপ তুলনামূলক কম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটিতে তো চাপের বালাই নেই। এই ম্যাচের কোনো গুরুত্ব নেই টুর্নামেন্টের পরের ধাপের জন্য।
“ওদের প্রতি কোনো বার্তা নেই। সাহায্য করার চেষ্টা করছি। বাড়তি চাপ না দিয়ে নিজেদের মতো খেলুক। ঢাকা লিগ বা বিপিএলের মতো খেলুক। ওরকম মানসিকতা নিয়ে যদি নামে, উপভোগ করে, তাহলে ভালো খেলবে বলে আমার বিশ্বাস।”
“বিশেষ কোনো বার্তা দিতে চাই না। কারণ তাহলে চাপ নিয়ে নিতে পারে। উইকেটে গিয়ে উপভোগ করুক। সেটা যদি করতে পারে, নিজেকে যদি চ্যালেঞ্জ করতে পারে, তাহলে ভালো অবশ্যই করতে পারে।”
দুজনের কাউকেই তামিমের বিকল্প হিসেবে দেখছে না দল। তবে অধিনায়কের বিশ্বাস, তামিমের মতো ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে দুজনেরই।
“তামিমকে না পাওয়া বড় ধাক্কা, এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। সে যত রান করেছে, সে সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটে যতটা সময় কাটিয়েছে, এটা অবশ্যই মিস করব। ওর যা ফর্ম ছিল, শুধু রান নয়, বড় বড় রান করছিল। এটা মিস করব।”
“কিন্তু ইনজুরির ওপর কারও হাত নেই। তরুণরা যারা আছে, ওদেরকে চেষ্টা করতে হবে। তামিমের মতো কিছু করার আশা করছি না। তবে তাদের সম্ভব সেরাটা পারফর্ম করতে পারলে হয়ত তামিমের মতো কিছু করেও ফেলতে পারে। আমি আশা করছি, ওরা ভালো শুরু এনে দেবে এবং থিতু হয়ে গেলে বড় রান করে দেবে।”