‘ইনজামামের ভাতিজা নয়, ইমাম নামেই পরিচিত হতে চাই’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগে থেকেই তাকে নিয়ে কৌতুহল। ইনজামাম-উল-হকের ভাইয়ের ছেলে বলে কথা! ভাতিজা নিজেও কম যান না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুটা হয়েছে দারুণ দ্যুতিময়। এরপরও ইনজামামের আড়ালেই অনেক সময় হারিয়ে যাচ্ছে নিজের পরিচয়। ইমাম-উল-হক তাতে যেন একটু বিরক্ত। চাপা পড়তে চান না তিনি চাচার পরিচয়ে। ছড়াতে চান আপন রঙ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2018, 07:34 AM
Updated : 14 Sept 2018, 07:34 AM

রঙ ছড়িয়েই ইমাম খেলতে গিয়েছেন এশিয়া কাপে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই তার ব্যাটে রানের জোয়ার। শুরু করেছিলেন অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি দিয়ে। ক্যারিয়ারে ৯ ওয়ানডে খেলেই করে ফেলেছেন ৪টি সেঞ্চুরি। টেস্ট অভিষেকেও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস।

চাচা পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক। ইমামকে দলে নেওয়ার পর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছিল। ইমামের পারফরম্যান্স চুপ করিয়ে দিয়েছে সমালোচকদের। তবে থামছে না তুলনা। চাচার সঙ্গে যদিও মিল নেই খুব একটা। ডানহাতি ইনজামাম ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছুদিন ওপেন করলেও পরে কিংবদন্তি হয়েছেন মিডল অর্ডারে ব্যাট করে। ইমাম বাঁহাতি ওপেনার। ইনজামাম ছিলেন বেশ আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। ইমাম তুলনায় একটু ভিন্ন ঘরানার।

এরপরও ইমামের নামের সঙ্গে বার বার জুড়ে যাচ্ছে ইনজামামের নাম। ক্যারিয়ারের এত দারুণ শুরুর পরও ইনজামামের ভাতিজা পরিচয়ই হয়ে উঠছে বড়। এশিয়া কাপ খেলতে দুবাই যাওয়ার পরও ইমামকে মুখোমুখি হতে হলো একই প্রশ্নের। ২২ বছর বয়সী ইমামের উত্তরে মিশে থাকল যেন ব্যাটিংয়ের দৃঢ়তাই।

“একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, আমি আগে ইমাম-উল-হক নামেই স্বীকৃত ও পরিচিত হতে চাই। তার পর ইনজামামের ভাতিজা। আমার হাতে ব্যাট আছে, সামনে মাঠ আছে, চাই পারফর্ম করতে। হ্যাঁ, তিনি আমার চাচা, কিন্তু সেটা তো আমার দোষ নয়!”

চাচার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না বলেও জানালেন ইমাম।

“খুব বেশি পরামর্শ দেন না চাচা। আমার সঙ্গে বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না। আমাকে স্রেফ বলেছেন ক্রিকেট উপভোগ করতে।”

ফখর জামানের সঙ্গে মিলে ইমাম গড়েছেন দারুণ এক উদ্বোধনী জুটি। তাদের এই জুটি, মিডল অর্ডারে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়, আর বৈচিত্রময় বোলিং আক্রমণ মিলে এবারের এশিয়া কাপের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান। অনেকের মতে, পাকিস্তান এগিয়ে থাকবে ভেন্যুর কারণেও। দুবাই ও আবু ধাবি তো তাদের ঘরের বাইরে ঘর। ইমামের অবশ্য ধারণা, ভেন্যুর কারণে খুব বেশি বাড়তি সুবিধা পাবেনা পাকিস্তান।

“গত সাত-আট বছরে আমরা এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। কন্ডিশনকে ভালো জানার সুবিধা তাই আমাদের আছে। তবে ভারতীয়রাও এখানে আইপিএল খেলেছে। তাছাড়া এশিয়ার কন্ডিশন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের কন্ডিশন প্রায় কাছাকাছিই। আমার মনে হয় না অন্য দলগুলির খুব একটা অসুবিধা হবে।”

বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা হংকংয়ের সঙ্গে লড়াই দিয়ে রোববার শুরু হবে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ।