নিজের প্রস্তুতি নিয়ে দুর্ভাবনায় তামিম

আঙুলের ফোলা কমেছে। ব্যথা আছে এখনও, তবে একটু কমেছে। তবু বেড়েছে দুশ্চিন্তা। চোট নিয়ে একটু স্বস্তি ফিরলেও তামিম ইকবাল অস্বস্তিতে আছেন আরেকটি দিক থেকে। চোট আর ভিসা জটিলতা মিলিয়ে নিজের প্রস্তুতি যে হচ্ছে না ভালোভাবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2018, 12:51 PM
Updated : 10 Sept 2018, 12:52 PM

ভিসা না হওয়ায় রোববার দলের সঙ্গে যেতে দুবাইয়ে পারেননি তামিম। ভিসা হয়নি সোমবার বিকেল পর্যন্তও। এদিনও তার যাওয়ার সম্ভাবরনা নেই বললেই চলে। যাত্রা পিছিয়ে যাওয়া মানে পিছিয়ে যাচ্ছে তার ব্যাটিংয়ে ফেরাও। চোটের অবস্থা বুঝতে হলেও ব্যাটিং অনুশীলন প্রয়োজন। বাধ্য হয়েই তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে ব্যাটিং অনুশীলন করবেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।

চোটের অবস্থা বোঝার প্রয়োজন তো আছেই। ব্যাটিংয়ের তাগিদ অনুভব করছেন তামিম আরেকটি কারণেও। ব্যাট হাতে নিচ্ছেন না যে দুই সপ্তাহের বেশি হলো। যে কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বরাবরই নিজের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি খুঁতখুঁতে। এবার সেখানে থেকে যাচ্ছে ঘাটতি।

সবশেষ ব্যাটিং করেছেন তামিম গত ২৫ অগাস্ট। ২৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপের দলের প্রস্তুতি। শুরুতে ছিল ফিটনেস ট্রেনিং। স্কিল ট্রেনিং শুরুর আগেই চোট পান আঙুলে। এরপর ব্যক্তিগত জরুরি প্রয়োজনে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সেখানেই স্ক্যান করিয়ে জানতে পারেন আঙুলে হালকা চিড়। দেশে ফেরার পরও তাই শুরু করতে পারেননি ব্যাটিং।

ভেবেছিলেন দলের সঙ্গে দুবাইয়ে গিয়ে ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে ব্যাটিং শুরু করবেন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে যেতে না পারায় তামিম হতাশার কথা জানালেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

“আশা করছি এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারব। আমি এখন বেশি ভাবছি প্র্যাকটিস নিয়ে। অনেক দিন হয়ে গেল ব্যাটিং করি না। জানি না কি অবস্থায় আছি। তাছাড়া আঙুলে কতটা লাগছে, কতটা পারছি, এসব জানতে হলেও তো ব্যাট করা প্রয়োজন। সময়মত যেতে না পারায় বেশ ঝামেলা হয়ে গেল। আজকে রাতে ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে কালকে মিরপুরেই ব্যাটিং করব কিছুক্ষণ। এছাড়া তো উপায় নেই।”

ডান হাতের অনামিকায় তামিম এই চোট পেয়েছেন ফিল্ডিং অনুশীলনে। ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। এই কদিনে তার আঙুলের অবস্থা আরও কিছুটা ভালো হবে বলে আশা করছে দল। তার আঙুল নিয়ে মূল শঙ্কা ফিল্ডিংয়ে। তাই অন্তত প্রথম দুই ম্যাচে তাকে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে যতটা সম্ভব আড়াল করে রাখার কথা ভাবছে দল।