২০১৬ সালে কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর আগের সেই ভয়ঙ্কর চেহারায় আর দেখা যায়নি মুস্তাফিজকে। এর পরও অবশ্য উইকেট নিয়েছেন, দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন বেশ কবারই। তবে আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারেননি এখনও। বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট।
মুস্তাফিজ অবশ্য লড়াই করে চলেছেন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন চোট থেকে ফিরে। সেই সফরে তিন ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট, তিন টি-টোয়েন্টিতে আটটি।
এশিয়া কাপের আগে কেমন অবস্থায় আছেন মুস্তাফিজ? শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ালশ শোনালেন আশার কথা।
“ফিট মুস্তাফিজকে পাওয়া মানে বোলিং আক্রমণে বাড়তি ধার। সে জানে তাকে কি করতে হবে।”
মুস্তাফিজের বোলিংয়ের চাপ কমানো, ইনজুরি প্রবণতার কারণে তাকে ভালোভাবে সামলানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। তবে মুস্তাফিজ নিজেকে ফিট রাখতে পারলেই আর কোনো সমস্যা দেখছেন না ওয়ালশ।
“ওয়ার্কলোড সামলানো নিয়ে খুব ভাবনার কিছু নই। ভালোই বোলিং করছে সে। আমি চাইব ওর সঙ্গে স্কিল বাড়ানো নিয়ে আরেকটু কাজ করতে। ইনজুরির কারণে সেই কাজ করার সুযোগ পুরোপুরি পাইনি। আশা করছি, এশিয়া কাপের সময়টায় কিছু কাজ করতে পারব। ওয়ার্কলোডের কথা বললে, সে এমন একজন যে জানে তাকে কি করতে হবে। স্রেফ সে ফিট থাকলেই হয়।”
“আমার কাছে ওয়ার্কলোড বলতে এখন প্রয়োজন, এশিয়া কাপের শুরুটায় তার ম্যাচ ফিটনেস ধরে রাখা। কারণ খানিকটা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল সে। ওয়ার্কলোড নিয়ে সে যদি স্বচ্ছন্দ থাকে, তাহলে আমিও খুশি। দুবাইয়ে যাওয়ার পর প্রথম দুই দিনই হবে চ্যালেঞ্জিং, বোঝা যাবে সে কতটা স্বচ্ছন্দ।”
এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ দল দুবাই যাবে রোববার।