এশিয়া কাপ ‘চ্যালেঞ্জিং’ বলেই দলে সাকিব

অস্ত্রোপচার অবধারিত। অন্তত একটি টুর্নামেন্ট বা সিরিজকে বিসর্জন দিতেই হবে। প্রশ্ন ছিল, সেটি কোনটি? সাকিব আল হাসান আর বিসিবির আলোচনায় আপাতত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্ট খেলার পর আঙুলের অস্ত্রোপচার করাবেন সাকিব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2018, 02:22 PM
Updated : 30 August 2018, 02:22 PM

বাংলাদেশের এশিয়া কাপ দল ঘোষণায় সবচেয়ে বড় কৌতুহল ছিল সাকিবকে নিয়েই। সাকিবের চাওয়া ছিল, যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেলা। তবে এশিয়া কাপের গুরুত্বের কথা ভেবে বিসিবির চাইছিল, ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সম্ভব হলে এশিয়া কাপ খেলে তার পর অস্ত্রোপচার করানো।

গত তিন এশিয়া কাপের দুটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সেই তিন টুর্নামেন্টই ছিল বাংলাদেশে। এবার এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও এবার আলাদা। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারলে পরের রাউন্ডে ম্যাচ আরও তিনটি।

সব মিলিয়ে এবারের এশিয়া কাপকে আগের আসরগুলোর চেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে করছে বিসিবি। হজে গিয়ে সাকিবের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের। কথা হয়েছে দুজন দেশে ফেরার পরও। সাকিবের অস্ত্রোপচার পেছানোর সিদ্ধান্তে এশিয়া কাপের চ্যালেঞ্জটাই গুরুত্ব পেয়েছে, জানালেন বিসিবি সভাপতি।

“সাকিবের সঙ্গে আমার যেটা কথা হয়েছিল মদিনায়, ওখানে যেটা বলল, ও এশিয়া কাপ খেলেই তারপর সার্জারিটা করবে। আমি বলেছিলাম, যদি সম্ভব হয় এশিয়া কাপ খেলে তার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় যেন অপারেশন করে। কারণ এশিয়া কাপ তো খুব চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি, সবশেষ যত এশিয়া কাপ খেলেছি, এবারেরটা সবচেয়ে কঠিন।”

এশিয়া কাপের ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে এর পরপরই অস্ত্রোপচার করাবেন সাকিব। আগে বাদ পড়লে অস্ত্রোপচারের সময়ও এগোবে। ২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে আগামী ১৬ অক্টোবর। এই সিরিজে বাইরে থাকবেন সাকিব।

বুধবার দেশে ফিরলেও বৃহস্পতিবার রাতেই আবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন সাকিব। বিসিবি প্রধান জানালেন, আগামী বৃহস্পতিবার এই অলরাউন্ডার ফিরবেন দেশে।