একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটে জিতেছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দল। ৯৯ রানের লক্ষ্য ২৪ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কাসুন রাজিথার প্রথম ওভারে তিন বাউন্ডারিতে ১৩ রানে তুলে নেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু আক্রমণে স্পিন আসতেই বেরিয়ে পড়ে অতিথিদের দুর্বলতা।
সর্বোচ্চ ২০ রান ডি ককের। রিজা হেনড্রিকস ফিরেন ১৯ রান করে। ওপেনার হাশিম আমলাসহ চার ব্যাটসম্যান খুলতে পারেননি রানের খাতা।
১৬.৪ ওভারে ৯৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বনিম্ন। ২০১৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ১০০ রান ছিল আগের সর্বনিম্ন।
সান্দাকান ৩ উইকেট নেন ১৯ রানে। দুটি করে উইকেট নেন দনাঞ্জয়া ও ডি সিলভা।
ছোট পুঁজি নিয়ে প্রাণপণ লড়াই করা দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারে কাগিসো রাবাদা ফিরিয়ে দেন কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসকে।
অতিথিদের চায়নাম্যান তাবরাইজ শামছি রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দেন ম্যাথিউস ও থিসারা পেরেরাকে। ইসুরু উদানাকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন চান্দিমাল। ৩৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান কিপার-ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬.৪ ওভারে ৯৮ (ডি কক ২০, আমলা ০, হেনড্রিকস ১৯, দুমিনি ৩, ক্লাসেন ১৮, মিলার ১৪, ফেলুকওয়ায়ো ০, রাবাদা ০, জুনিয়র ডালা ১২*, এনগিডি ৪, শামসি ০; রাজিথা ১/২৭, ডি সিরভা ২/২২, দনাঞ্জয়া ২/১৫, সান্দাকান ৩/১৯, উদানা ১/৯)
শ্রীলঙ্কা: ১৬ ওভারে ৯৯/৭ (কুসল পেরেরা ৩, মেন্ডিস ১, চান্দিমাল ৩৬*, ডি সিলভা ৩১, ম্যাথিউস ০, শানাকা ১৬, থিসারা পেরেরা ০, দনাঞ্জয়া ২, উদানা ৫*; রাবাদা ২/২৪, এনগিডি ০/২৫, শামসি ২/২৬, জুনিয়র ডালা ২/২২, দুমিনি ১/২)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা