তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৬ উইকেটে ৩৫৭ রান। আগের দিন ভারতকে ১০৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া স্বাগতিকরা এগিয়ে ২৫০ রানে।
ওকস ১২০ ও আরেক অলরাউন্ডার স্যাম কারান ২২ রানে ব্যাট করছেন।
লর্ডসে রোববার ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ৩২ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার। ৮৯ রানের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান।
জস বাটলারকে নিয়ে দলকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দেন জনি বেয়ারস্টো। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২২ বলে ২৪ রান করা বাটলারকে এলবিডব্লিউ করে শামি ভাঙেন জুটি।
আগের দিন ভারত ইনিংসের সময় থেকেই অতিথিদের একাদশে দুই স্পিনারের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তৃতীয় দিন তা আরও উচ্চকিত হল। উমেশ যাদবের জায়গায় রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবকে খেলানোর চড়া মাশুল দিচ্ছে ভারত।
শামি, ইশান্ত আক্রমণ থেকে সরার পর আলগা হয়ে যায় ফাঁস। কুলদীপ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটুও ভাবাতে পারেননি ব্যাটসম্যানদের। ওয়ানডে গতিতে এগিয়ে যান ওকস, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন বেয়ারস্টো।
পরে ফিফটি স্পর্শ করা ওকস এক সময়ে ছাড়িয়ে যান বেয়ারস্টোকে। দুই জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে গড়ে উঠে ১৮৯ রানের দারুণ জুটি।
এজবাস্টনে দারুণ ব্যাটিং করা স্যাম কারান দাঁড়িয়ে গেছেন লর্ডসেও। এরই মধ্যে ওকসের সঙ্গে গড়েছেন ৩৭ রানের জুটি।
৮০ ওভার শেষ হতেই দ্বিতীয় নতুন বল নেয় ভারত। কিন্তু আলোক স্বল্পতায় আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় নতুন বলে ১ ওভারের বেশি করার সুযোগ পায়নি অতিথিরা।
ভারতের দুই স্পিনার অশ্বিন ও কুলদীপ উইকেটশূন্য। ৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার শামি। পান্ডিয়া ২ উইকেট নেন ৬৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ১০৭
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ৩৫৭/৬ (কুক ২১, জেনিংস ১১, রুট ১৯, পোপ ২৮, বেয়ারস্টো ৯৩, বাটলার ২৪, ওকস ১২০*, কারান ২২*; ইশান্ত ১/৮৮, শামি ৭৪/৩, কুলদীপ ০/৪৪, পান্ডিয়া ২/৬৬, অশ্বিন ০/৬৮)