চোট সামলাতে ইনজেকশন নিয়ে খেলছেন সাকিব

জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে যে চোট পেয়েছিলেন, সেটি এখনও ভোগাচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলেছেন বাঁহাতে কনিষ্ঠায় প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে। ব্যথার তীব্রতা অসহনীয় হলে ম্যাচ খেলেছেন ইনজেকশন নিয়ে। এভাবে আপাত সমাধান হলেও এই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে হলে অস্ত্রোপচার লাগবেই সাকিবের আঙুলে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2018, 02:26 PM
Updated : 7 August 2018, 02:26 PM

এই ধরনের অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরতে সময় লাগে ছয় থেকে আট সপ্তাহ। বাংলাদেশের সামনের ব্যস্ত সূচিতে মাস দুয়েকের ফাঁকা সময় বের করা কঠিন। সাকিব দেশে ফেরার পর তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে করণীয়, জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সেই চোট নিয়ে পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি সাকিব। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ভাগেও ছিলেন বাইরে।

পরে মাঠে ফিরলেও অনুভব করছিলেন ব্যথা। বোলিংয়ে খুব সমস্যা না হলেও ব্যাটিংয়ে সমস্যায় পড়ছেন প্রায়ই। সে কারণেই ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হচ্ছে, জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।

“সাকিবের বাঁহাতে লিটল ফিঙ্গারে একটা ডিসলোকেশন ছিল। সে মূলত বাটিংয়ে সমস্যা অনুভব করছে। আমাদেরকে জানিয়েছে যে ব্যাটিংয়ে শতভাগ দিতে পারছে না। অস্ট্রেলিয়ায় একজন সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তিনি ইনজেকশন দেওয়ার পর ব্যাথা কমে এসেছিল।”

“এরপর কিছুদিন ব্যথা ছাড়া খেলতে পারলেও পরে ফিরে এসেছে। সমস্যা থেকেই গিয়েছে। সার্জনের কথা মতে, শর্ট টার্ম ম্যানেজমেন্টের জন্য ইনজেকশন দেওয়া। লং টার্মে খুব কাজ করবে না। দল ফ্লোরিডা যাওয়ার পরও ওকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। সেখানকার ডাক্তারও বলেছেন এটা শর্ট টার্ম কাজ করবে।”

চূড়ান্ত সমাধানের জন্য অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারের সামনে ফুরসত আছে সামান্যই। আগামী মাসেই এশিয়া কাপ খেলতে যাবে দল। পরের মাসে সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে। তার পরের মাসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হওয়ার পর জানুয়ারিতে বিপিএল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দল যাবে নিউ জিল্যান্ড সফরে। সেই সফর শেষ মার্চের মাঝামাঝি। এরপর খানিকটা সময় থাকবে বটে। তবে দুই মাস বের করা কঠিন। মে মাসের শুরুতেই আয়ারল্যান্ডে সিরিজ খেলতে যাবে দল। সেই মাসের শেষেই ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ।

দেবাশীস জানালেন, সবকিছু বিবেচনা করে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

“সাকিব, ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই অপারেশন হলে দেড়-দুই মাস রিহ্যাব করতে হবে। সেই সময়টা বের করতে কথা বলতে হবে।”

“আপাতত ইনজেকশনে ব্যাথা কমে এসেছে। ওরা ফিরে আসার পর যখন এশিয়া কাপের অনুশীলন শুরু হবে, তখন যদি সমস্যা না হয় তাহলে এভাবে চালিয়ে যাব আমরা। আর যদি সমস্যা বেড়ে যায়, তাহলে তখনকার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে চিন্তা করতে হবে।”

এই চোট এমন ধরনের, যা শতভাগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কমই। তবে সেটা খুব জরুরি নয়, বলছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।

“যেটা হচ্ছে, ওর আঙুলের জয়েন্টের দুটি হাড়ে সংঘর্ষ হচ্ছে। হাড় একটু চেছে দিতে হবে। তাহলে মুভমেন্ট আবার স্বাভাবিক হবে। তবে হাড় আবারও পরে বাড়তে পারে। পুরোপুরি রিকভারি কখনোই হবে না। পুরোপুরি রিকভারি জরুরিও নয়। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রিকভারি করতে পারলেই ফাংশনাল হয়ে যাবে।”