টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তাড়ায় পঞ্চম ওভারে ওই চোট পান অপু। মারলন স্যামুয়েলসের শটে তিনি নিজেই ফিল্ডিং করেছিলেন ডাইভ দিয়ে। তখনই তার হাত মাড়িয়ে দেয় নন স্ট্রাইকে থাকা চাডউইকট ওয়ালটনের বুট।
রক্তাক্ত হাত নিয়ে তখনই মাঠ ছাড়েন অপু। দ্রুতই নেওয়া হয় হাসপাতালে। সেদিন আর ফিরতে পারেননি মাঠে।
এক হাতে দুই ডজনের বেশি সেলাই পড়লেও অপু ও দলের জন্য স্বস্তির খবর ছিল, হাতে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। সেলাই শুকাতে খুব বেশি সময়ও লাগবে না। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরীর ভাবনা শুধু একটি আঙুলের চোট নিয়ে।
“মাইক্রো সেলাই শুকাতে সময় লাগে না। ১০-১২ দিন পরই ওর সেলাই কাটা হবে। তার পর বোলিং শুরু করতে আরও কয়েকদিন লাগবে। কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সেলাইগুলো নিয়ে ভাবনা নেই। তবে তর্জনির জয়েন্টের ওপর ক্ষত হয়েছে, ওখানকার সেলাইটা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু স্পিনিং ফিঙ্গার, একটু সাবধানী হতে হবে। এটার জন্য সময় একটু বেশি লাগতে পারে।”
বাংলাদেশ দলের পরের অভিযান আগামী মাসের মাঝামাঝি এশিয়া কাপ। এবার যেটি হবে ওয়ানডে সংস্করণে। ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেললেও এখনও ওয়ানডে খেলেননি অপু। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই জায়গা পেয়েছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। সব ঠিক থাকলে এশিয়া কাপের আগেই সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে বোলিংয়ে।