এজবাস্টন টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন আর ৮৪ রান। ইংল্যান্ডের চাই ৫ উইকেট। সমীকরণ আপাতত হেলে ভারতের দিকে। তবে চতুর্থ দিন সকালে কোহলিকে দ্রুত ফেরাতে পারলেই আবার ম্যাচ হেলে যাবে ইংলিশদের দিকে।
শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮০ রানে। প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ১৩ রানের লিড মিলিয়ে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৪। ভারত দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১১০ রানে।
ইংল্যান্ড দিন শুরু করেছিল ১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে। আগের দিন বিকেলে অ্যালেস্টার কুককে ফেরানো রচিচন্দ্রন অশ্বিন ছোবল দেন এদিন সকালেও। দ্রুতই ফিরিয়ে দেন কিটন জেনিংস ও জো রুটকে।
৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ডাভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে। বাধা হয়ে দাঁড়ান ইশান্ত। দুর্দান্ত স্পেলে এলোমেলো করে দেন ইংলিশ মিডল অর্ডার।
মালানকে ২০ রানে ফিরিয়ে ইশান্ত ভাঙেন ৩১ রানের জুটি। খানিক পর এক ওভারেই ফেরান বেয়ারস্টা ও বেন স্টোকসকে। ওভারের মাঝে লাঞ্চ বিরতি। লাঞ্চের পর ওই ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন জস বাটলারকেও!
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন কারান। বল হাতে পরে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে তুললেন ঝড়। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে শেষ তিন জুটিতে দলকে এনে দেন মহামূল্য ৯৩ রান।
৯ চার ও ২ ছক্কায় কারান করেন ৬৫ বলে ৬৩। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন এই ২০ বছর বয়সী, ইংল্যান্ড পেয়ে গেছে তখন লড়ার মতো রান।
অনুমিতভাবেই লড়াই জমল তুমুল। প্রথম ইনিংসে বিবর্ণ স্টুয়ার্ট ব্রড এবার ফেরালেন ভারতের দুই ওপেনারকে। লোকেশ রাহুল ব্যর্থ ম্যাচে দ্বিতীয়বার। আবারও বাজে শটে ফিরলেন অজিঙ্কা রাহানে। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া অশ্বিন পারলেন না টিকতে।
কোহলি আছেন বলেই স্বপ্ন দেখছে ভারত। এর আগে এই মাঠে ১৬ টেস্ট খেলেও জিততে পারেনি এশিয়ার কোনো দল। কোহলিদের সুযোগ নতুন ইতিহাস লেখার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৮৭
ভারত ১ম ইনিংস: ২৭৪
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৫৩ ওভারে ১৮০ (কুক ০, জেনিংস ৮, রুট ১৪, মালান ২০, বেয়ারস্টো ২৮, স্টোকস ৬, বাটলার ১, কারান ৬৩, রশিদ ১৬, ব্রড ১১, অ্যান্ডারসন ০*; শামি ০/৩৮, অশ্বিন ৩/৫৯, ইশান্ত ৫/৫১, উমেশ ২/২০)।
ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৯৪) ৩৬ ওভারে ১১০/৫ (বিজয় ৬, ধাওয়ান ১৩, রাহুল ১৩, কোহলি ৪৩*, রাহানে ২, অশ্বিন ১৩, কার্তিক ১৮*; অ্যান্ডারসন ১/৩৩, ব্রড ২/২৯, স্টোকস ১/২৫, কারান ১/১৭, রশিদ ০/৪)।