২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে শুরু হয়েছিল যে টেস্ট ক্যারিয়ার, বুধবার এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষেই সেই ক্যারিয়ার পৌঁছে গেল ৬ হাজার রানে। মাত্র ৫ বছর ২১২ দিনেই স্পর্শ করলেন এই মাইলফলক।
রুটের এ দিন প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। ৩১ রান নিয়ে গিয়েছিলেন লাঞ্চে। কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যান লাঞ্চের পরপর।
রুট ছাড়িয়ে গেছেন তারই পূর্বসূরি অ্যালেস্টার কুককে। রুটের মতোই ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে অভিষেক হয়েছিল কুকের, ২০০৬ সালে। সেখান থেকে ৬ হাজার করতে লেগেছিল ৫ বছর ৩৩৯ দিন।
এই দুজনের পর আছেন সমসাময়িক আরেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন। ৬ হাজার করতে তার সময় লেগেছিল ঠিক ৬ বছর।
৬ বছর ৮৪ দিন সময়ে ৬ হাজার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আরেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস করেছিলেন ৬ বছর ২২০ দিন সময়ে। ৬ বছর ২৮৪ দিনে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ।
রেকর্ডের শীর্ষ পাঁচে চারজন ইংলিশ ক্রিকেটারের নাম যেমন ফুটিয়ে তোলে তাদের ধারাবাহিকতা, তেমনি বলে দেয় কত বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড।
ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম ৬ হাজারের রেকর্ড অবশ্য সবার ধরাছোঁয়ার অনেকটা বাইরেই রেখেছেন ডন ব্র্যাডম্যান। মাত্র ৬৮ ইনিংস খেলেই ছুঁয়েছিলেন এই মাইলফলক। দুইয়ে থাকা গ্যারি সোবার্স ও স্টিভেন স্মিথের লেগেছে ১১১ ইনিংস!
রুটের লাগল ১২৭ ইনিংস। তার চেয়ে কম ইনিংস খেলে ৬ হাজার করেছেন আরও ১৭ জন।