দল চেয়েছিল তামিম যেন লম্বা সময় ব্যাট করে। এমনিতেই বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম পূর্বশর্ত তামিমের রান পাওয়া। তার ওপর টেস্ট সিরিজে ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার পর তামিমকে দল বলেছিল আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে। ইনিংস টেনে নিতে। সেটি করতে পেরেছেন বলে সিরিজ শেষে দারুণ খুশি এই ওপেনার।
“আমি যা করতে চেয়েছি এবং আমার দল আমার কাছে যা চেয়েছে, তা হলো লম্বা সময় ব্যাট করা। এটাই ছিল পরিকল্পনা। আমি সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি। ভালো লেগেছে।”
“গায়ানার উইকেট খুব সহজ ছিল না (প্রথম দুই ওয়ানডেতে)। টার্ন করছিল, প্রথম ম্যাচে সিমিংও ছিল। ধৈর্য রাখতেই হতো। সেটা করতে পেরেছি বলেই বড় ইনিংস খেলতে পেরেছি।”
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের ১১ সেঞ্চুরির ৮টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, দলে তার গুরুত্ব তুলে ধরে এই পরিসংখ্যানই। তামিমের কাছেও সেরা প্রাপ্তি দলের জয়ে অবদান রাখতে পারা।
“সব সময় বলেছি যে যখন দল জেতে এবং তাতে রান করি, এটা হলো সবচেয়ে সেরা অনুভূতি। তিনটি ম্যাচেই যে ধৈর্য নিয়ে আমি খেলতে পেরেছি, কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। টেস্ট ম্যাচে ব্যর্থতার পর সবাই অনেক কষ্ট করেছে। আমি রান পেয়েছি। কিন্তু যারা পায়নি, তারাও অনেক কষ্ট করেছে।”
তামিম জানালেন, দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের কাছে গিয়ে হারলেও বিশ্বাস হারায়নি দল। টেস্ট সিরিজটা খুব বাজে কেটেছিল বলেই ওয়ানডের জয় সবাইকে দিচ্ছে বাড়তি তৃপ্তি।
“অনেক অনেক তৃপ্তিদায়ক জয়। দীর্ঘদিন পর আমরা প্রথম সিরিজ জিতলাম। আমরা অনেক উচ্চাশা নিয়ে এসেছিলাম টেস্ট সিরিজেও। যেভাবে টেস্টে খেলেছি আমরা, তার পর খুবই জরুরি ছিল যেন ওয়ানডে সিরিজটি ভালো খেলি।”
“প্রথম ওয়ানডেতে আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দ্বিতীয় ওয়ানডেও আমাদের জেতা উচিত ছিল। তবে ওই হারের পর কেউ বিশ্বাস হারানি। সবাই বিশ্বাস করেছে যে শেষ ম্যাচে আমরা জিততে পারি।”