গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে একসময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৪০ রান। হাতে ৭ উইকেট। সমীকরণ পরে নেমে আসে ১৩ বলে ১৪ রানে। উইকেট হাতে তখন ৬টি। এই ম্যাচও হেরে গেছে বাংলাদেশ ৩ রানে।
গত কয়েক বছরে এই ধরনের হারের যন্ত্রণায় বেশ কয়েকবারই পুড়তে হয়েছে দলকে। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হার আর এ বছর নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশ হেরেছে কাছে গিয়েও।
ম্যাচ শেষে মাশরাফির কণ্ঠে উঠে এল একই ভুল বারবার করার হতাশা।
“এই ধরনের ম্যাচ হারা তো অবশ্যই হতাশার। শেষ ১৩ বলে ১৪ রান লাগবে, ৬ উইকেট হাতে। ওখন থেকে ম্যাচ হারার কথা নয়। আর এমন না যে এটা প্রথমবার হলো। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার হলো। এটাই বেশি হতাশার। আমরা বারবার ভুল থেকে হয়ত শিখছি না। সহজেই শেষ করা উচিত ছিল এই ম্যাচ।”
ভুলের পুনরাবৃত্তির চক্কর থেকে বের হতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে অধিনায়ককেও মনে হলো অসহায়।
“এখানে আসলে কি বলব… টেকনিক্যাল না মেন্টালি, ব্যাখ্যা করা কঠিন। এমন যদি হতো যে ১২ বলে ২০ রান লাগবে, অন্য কথা ছিল। কিন্তু ১৩ বলে যখন ১৪ লাগবে, তখন টেকনিক্যাল বা মেন্টাল কোনোটিই বলা কঠিন।”
“তবে সত্যিকার অর্থে বললে, আমরা এই ধরনের ভুল বারবার করছি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে হয়ত নার্ভ আরও সহজ রাখা যেত। বল প্রতি রান দরকার ছিল। এক এক করে রান নিয়েই শেষ করা যেত, যেটা আমরা করতে পারিনি।”