স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্ষুব্ধ ম্যাক্সওয়েল

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও আবার অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দলে ফেরার পর প্রথম টেস্টেই এবং উপমহাদেশের কঠিন কন্ডিশনে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যেটিকে বলছেন তার ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়। সেই অধ্যায়েই স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত এই অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2018, 10:46 AM
Updated : 24 July 2018, 10:46 AM

ক্রীড়ায় বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে টিভি চ্যানেল আল জাজিরা একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করেছিল গত মে মাসে। তাতে দাবি করা হয়েছিল, গত বছর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার রাঁচি টেস্টে স্পট ফিক্সিং হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ম্যাচের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জুয়াড়িদের বেঁধে দেওয়া গতিতে রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা।

অনিল মুনাওয়ার নামে এক ভারতীয় নাগরিক স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত দু্ইজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের নাম বলেন ডকুমেন্টারিতে। তবে প্রচারের সময় সম্পাদনা করে আড়াল করা হয় নাম দুটি।

নাম প্রকাশ না করলেও যে সময়ের কথা বলা হয়েছে এবং ফুটেজে যা ফুটে উঠেছে, তাতে অনেকটাই নিশ্চিত, অভিযুক্ত দুই অস্ট্রেলিয়ানের একজন ম্যাক্সওয়েল।

সেই অভিযোগ নিয়েই এসইএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝারলেন ম্যাক্সওয়েল।

“আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। একটু মর্মাহতও হয়ে ছিলাম। এমন একটি ম্যাচে এসবে জড়িত থাকার নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, যেখানে আমার কেবল সুখস্মৃতিই আছে, অসাধারণ স্মৃতি… সেঞ্চুরি হওয়ার পর স্টিভেন স্মিথকে জড়িয়ে ধরার অনুভূতিটা আমার এখনও মনে পড়ে।”

“এমন অভিযোগ করে সেই অনুভূতিকে নষ্ট করা ছিল ভয়ঙ্কর। আর অবশ্যই, এসবে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। শতভাগ অন্যায় দাবি। আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্তকে কলঙ্কময় করা ছিল খুব নিষ্ঠুর।”

টিভি চ্যানেলটি তখন বলেছিল, প্রচারের সময় নাম সম্পাদনা করা হলেও বিস্তারিত তথ্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এমনকি প্রচারের আগে ওই ফুটেজ ম্যাক্সওয়েলকে দেখানো হয়েছিল। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বা আইসিসি তাকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

ম্যাক্সওয়েলের ধারণা, সরাসরি নাম নেওয়া হয়নি বলেই তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

“যদি তারা (আল জাজিরা) কারও নাম নিত, তাহলে হয়ত এটিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হতো। তারা সুনির্দিষ্ট কোনো নাম উল্লেখ করেনি। তবে ম্যাচের যে সময়ের কথা বলেছে, যেখানে আমি ছিলাম। আমার ব্যবহার করা সরঞ্জাম দেখা গেছে (ফুটেজে), ওই ম্যাচে ওই সরঞ্জাম আর কেউ ব্যবহার করেনি। এটা মেনে নেওয়া তাই বেশ কঠিন ছিল।”

তদন্তের স্বার্থে আল জাজিরার কাছে সেই সময় অসম্পাদিত ফুটেজ চেয়েছিল আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে টিভি চ্যানেলটি তা দেয়নি বলেই জানা গিয়েছিল। আইসিসি অবশ্য ডকুমেন্টারিতে তোলা নানা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।