পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ১৩১ রানে জিতেছে সরফরাজ আহমেদের দল।
বুলাওয়ায়োতে রোববার ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে তাদের সর্বোচ্চ।
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইমাম-ফখরের ব্যাটে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। দুই বাঁহাতি ওপেনার দলকে উপহার দেন আরেকটি শতরানের জুটি। সঙ্গে গড়েন দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এই জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত রেকর্ড ধরা দিয়েছে সিরিজ সেরা ফখরের হাতে। ১৮ ইনিংসে চার অঙ্কে পৌঁছে গড়েছেন দ্রুততম ১ হাজার রানের বিশ্ব রেকর্ড। সেই সঙ্গে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ছাড়িয়ে নিজের করে নিয়েছেন পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আরেকটি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ফখরকে থামান লিয়াম রোচ। ৮৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮৫ রান করে ফিরে যান ফখর। তার আগে আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি। মোহাম্মদ ইউসুফকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে দুটি আউটের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড এখন তার।
সিরিজে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফিরেন ইমাম। তরুণ এই ওপেনারের ১০৫ বলের ইনিংস গড়া ৮ চার ও ১ ছক্কায়। ৯ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে চারটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকেই নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।
সাত হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করা শোয়েব মালিক যেতে পারেননি বেশিদূর। তার সমান ১৮ রান করে ফিরে যান আসিফ আলি।
পাকিস্তান সাড়ে তিনশ ছাড়ায় বাবরের ব্যাটে। ৫৫ বলে ফিফটিতে যাওয়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান পরের পঞ্চাশ পেতে খেলেন মাত্র ১৭ বল। সব মিলিয়ে ৭২ বলে পেয়ে যান ওয়ানডেতে নিজের অষ্টম সেঞ্চুরি। ৭৬ বলে ৯ চার আর দুই ছক্কায় অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় জেতার জন্য খেলেনি জিম্বাবুয়ে। আগের চার ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারা দলটি ব্যাটিং করে পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে।
দুই ওপেনার ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু এনে দেন। প্রিন্স মাসভাউরে ও রায়ান মারির ৭৮ রানের জুটি দলকে ২ উইকেটে ১৭৮ রানের ভালো ভিতের ওপর দাঁড় করায়। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে ফিরে যান মারি। ৩৯ রান করেন মাসভাউরে।
ঝড় তোলার মঞ্চ পেয়েছিলেন পিটার মুর ও এল্টন চিগুম্বুরা। তার চেষ্টাই করেননি কেউ। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ১৩.২ ওভারে গড়েন ৬৭ রানের জুটি।
দলে ফেরা দুই বোলার হাসান আলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৬৪/৪ (ইমাম ১১০, ফখর ৮৫, বাবর ১০৬*, মালিক ১৮, আসিফ ১৮, সরফরাজ ৬*; এমপোফু ১/৬৭, চাতারা ১/৭৯, তিরিপানো ০/৬৭, রোচ ১/৬৫, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৬৬, মাসভাউরে ০/১৯)
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৩৩/৪ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৩৪, কামুনহুকামউই ৩৪, মাসভাউরে ৩৯, মারি ৪৭, মুর ৪৪*, চিগুম্বুরা ২৫*; আমির ০/১৯, জুনাইদ ০/৩৫, হাসান ২/৫৫, নওয়াজ ২/৪৭, শাদাব ০/৪২, মালিক ০/১৯, সরফরাজ ০/১৫)
ফল: পাকিস্তান ১৩১ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান
ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম
ম্যান অব দা সিরিজ: ফখর জামান