গেইল-লুইসের দুর্বলতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

এক প্রান্তে ক্রিস গেইল, আরেক পাশে এভিন লু্ইস। রঙিন পোশাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সব প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনা বিস্ফোরক এই দুই ওপেনারকে নিয়ে। শঙ্কাটা মাশরাফি বিন মুর্তজারও আছে। তবে এই দুজনের সামনে ইতিবাচক থাকতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। চান তাদের দুর্বল জায়গায় বল ফেলতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2018, 04:25 AM
Updated : 22 July 2018, 04:26 AM

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে রোববার। গায়ানায় প্রথম ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায়।

ম্যাচের আগে আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়ে ক্যারিবিয়ানদের দুই ওপেনার। তাদের নিয়ে বাড়তি ভাবনা আছে বাংলাদেশ দলেরও। তবে মাশরাফির চাওয়া, নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারা।

“আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারে দুজন ব্যাটসম্যান আছে, যারা ঝড় তুললে আমাদের কাজটা কঠিন। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। নিজেরা যা পারি, সেসব করতে হবে। সঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে। ওদের দুর্বল জায়গায় বল করতে হবে। দেখা যাক। যদি টপ অর্ডারকে দ্রুত ফেরানো যায়, দারুণ হবে।”

টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশের জন্য ছিল চরম হতাশার। তবে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যোগ দিয়েছেন ৭ ক্রিকেটার, যারা ছিলেন না টেস্টে। অধিনায়কের আশা, টেস্টের হতাশার ছাপ পড়বে না ওয়ানডেতে।

“নতুন কয়েকজন যোগ দিয়েছে দলে। আশা করি, তারা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক বেশি অভ্যস্ত আমরা। টেস্ট সিরিজে যে ছেলেরা ছিল এবং ওয়ানডের জন্য যারা এসেছে, সবাইকে নিয়ে দলের সমন্বয় বেশ ভালো। আশা করি প্রথম ম্যাচ থেকে সবাই তৎপর থাকবে।”

গায়ানায় দারুণ এক সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে এখানেই বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল সেই সময়ের র‌্যাঙ্কিং সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই ম্যাচে খেলা মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও মুশফিক আছেন এবারও।

তবে গত ১১ বছরে এখানে আর খেলা হয়নি বাংলাদেশের। উইকেটর সাম্প্রতিক অবস্থাও জানা নেই খুব একটা। তবে ম্যাচের আগের দিন উইকেট দেখে একটা সম্ভাব্য স্কোর মনে গেঁথেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“২০০৭ সালে আমরা এখানে শেষ খেলেছি। এত দিন পর খেললে কিছু আন্দাজ করা কঠিন। তার পরও মনে হচ্ছে ২৬০-২৮০ হতে পারে ভালো স্কোর।”