জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে শুক্রবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৪২ ওভারে ৩০৪ রান যোগ করেন ফখর ও ইমাম। ওয়ানডেতে ইতিহাসে এটাই প্রথম তিনশ রানের উদ্বোধনী জুটি।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এর চেয়ে বড় জুটি আছে কেবল তিনটি।
ওয়ানডেতে আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল ২৮৬ রানের। ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জুটি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের সেরা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড ছিল এই দুই জনেরই অধিকারে। ২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে তুলেছিলেন ২৮২ রান।
উদ্বোধনী জুটি তো বটেই যে কোনো উইকেটেই এই প্রথম তিনশ ছোঁয়া জুটি পেল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে তাদের আগের সেরা জুটি ছিল ২৬৩ রানের। শারজায় ১৯৯৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে আমির সোহেলর সঙ্গে সেই জুটি গড়েছিলেন ইমামের চাচা ইনজামাম-উল-হক।
উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের আগের সেরা ছিল ২২৮ রান। হারারেতে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের অবিচ্ছিন্ন সেই জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমরান ফারহাত।
১২২ বলে ৮ চারে ১১৩ রান করে ইমাম ফিরলে ভাঙে ৪২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি। অন্য ওপেনার ফখর পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৩৯৯ রান করে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ।
১৫৫ বলে ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন ফখর। ওয়ানডেতে এটি পঞ্চম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে সাত ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করলেন ফখর ও ইমাম। তার তিনটিতেই পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। পাকিস্তানের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তাদের চেয়ে বেশি- চারটি করে সেঞ্চুরি আছে কেবল ফারহাত ও ইয়াসির হামিদ এবং হাফিজ ও নাসির জামশেদের।
সাত ইনিংসে ১০১.৪২ গড়ে ফখর-ইমাম জুটির রান ৭১০। তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তাদের দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।